বিরাটের গল্পে বাংলাদেশ অপয়া

বাংলাদেশের সাথে বড় রান করে রীতিমত ফেঁসে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। স্থবির হয়ে পড়েছিল তার ব্যাট।

শেষ যে বার বাংলাদেশ ভারতে গিয়েছিলে টেস্ট খেলতে, তখন বিরাট কোহলির এক সুখস্মৃতি রয়েছে। যদিও এরপর দীর্ঘদিন খরায় কাটাতে হয়েছে। বাংলাদেশের সাথে বড় রান করে রীতিমত ফেঁসে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। স্থবির হয়ে পড়েছিল তার ব্যাট। বহুদিন বাদে সেই স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলেন বিরাট।

২০১৯ সালে ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ রীতিমত পাত্তাই পায়নি। বিপর্যস্ত হয়ে প্রতিবেশি দেশ থেকে ফেরত এসেছিলেন মুশফিকুর রহিমরা। তবে অধিনায়ক হিসেবে সে টেস্ট সিরিজে বিশেষ করে দ্বিতীয় টেস্টে ভাল সময় পার করেছিলেন বিরাট কোহলি।

কলকাতায় দ্বিতীয় টেস্টটি ছিল গোলাপী বলের ম্যাচের। প্রথমবারের মত ভারতের মাটিতে খেলা হয়েছিল গোলাপী বলে। দিবারাত্রির সেই টেস্টে বিরাটের ব্যাট থেকে এসেছিল সেঞ্চুরি। ১৩৪ রান তিনি করেছিলেন। মোকাবেলা করেছিলেন ১৯৪টি বল।

সেই টেস্ট ম্যাচ ভারত জিতেছিল ১৩০ রান ও এক ইনিংসের ব্যবধানে। কিন্তু এরপর যেন শনির দশা শুরু হয় বিরাটের। সেঞ্চুরির দেখা তিনি আর পাচ্ছিলেন না। ধারণা করা হতো শচীন টেন্ডুলকারের শত সেঞ্চুরির রেকর্ড নিশ্চয়ই ভেঙে ফেলবেন বিরাট। কিন্তু বিরাটের সেই সেঞ্চুরি খরা শচীনের দুর্ভেদ্য রেকর্ডকে বিশাল বড় এক হুমকি থেকে বাঁচায়।

সেই ২০১৯ সালের পর ২০২২ সালে এসে আবারও বিরাট তিন অংকের দেখা পান। প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সেঞ্চুরি করেন বিরাট কোহলি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেটিই ছিল তার প্রথম ও এখন অবধি একমাত্র শতক।

প্রায় তিন বছর ধরে শতরানের কাছে গিয়েও ফিরেছেন তিনি বহুবার। তাইতো বাংলাদেশকে বিরাটের ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে অপয়া এক দল বলা যেতে পারে। এবারও বিরাট মুখোমুখি হবেন বাংলাদেশের। সেই ২০১৯ সালের  বাংলাদেশ এবং বর্তমান বাংলাদেশ দলের মধ্যে রয়েছে তফাৎ। সদ্যই টাইগাররা পাকিস্তানের মাটিতে স্বাগতিকদের হোয়াইট ওয়াশের লজ্জায় ডুবিয়েছে। বিরাটের জন্য তাই বাংলাদেশ এক বিরাট চ্যালেঞ্জ।

Share via
Copy link