ইংল্যান্ড বা ভারত এরই মধ্যে এই কাজটা শুরু করে দিয়েছে। বায়ো বাবলের বিরক্তি ও একঘেয়েমি কাটাতে খেলোয়াড়দের রোটেশন পদ্ধতিতে খেলাচ্ছে তারা। এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও সেই পথে হাটতে যাচ্ছে।
করোনা ভাইরাস যেমন আতঙ্ক ছড়িয়েছে চারপাশে; তেমনি কঠিন করে তুলছে অনেক কিছু। করোনার প্রভাবে ক্রিকেটের নিয়মেও এসেছে অনেক পরিবর্তন। করোনা প্রকোপের ভিতর কোন টুর্নামেন্ট বা সিরিজ চলাকালীন জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবলে থাকতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের।
দীর্ঘ সময় পরিবার ছেড়ে জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবলে থাকা সব সময়ই কঠিন; মানসিক ভাবেও ভেঙ্গে পড়েন অনেক ক্রিকেটার। তাই ক্রিকেটারদের মানসিক অবসাদ থেকে দুরে রাখতে রোটেশন পলিসির ব্যবস্থা করেছে ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।
রোটেশন পলিসি অনুযায়ী কোন সিরিজ শুরুর আগে কোন ক্রিকেটার নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী সিরিজ থেকে নিজকে সরিয়ে নিতে পারবেন। ক্রিকেটারদের কথা বিবেচনা করে রোটেশন পলিসির দিকে হাঁটতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)।
এ প্রসঙ্গে ক্রিকবাজকে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘আমাদের এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ আপনাকে বুঝতে হবে যে জৈব সুরক্ষা বলয়ের মাঝে থেকে ক্রিকেট খেলাটা কোনোভাবেই সহজ নয়। ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডে রোটেশন পলিসি অনুসরণ করে বেশ সফল হয়েছে।’
রোটেশন পলিসি চালু করার পর জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবলে বেশি দিন থাকতে না পেরে যদি কোনো ক্রিকেটার কোন সিরিজ থেকে ছুটি নেয় তাহলে বোর্ডের কাছেও জবাবদিহিতা করতে হবে না ঐ ক্রিকেটারকে।
এ প্রসঙ্গে নান্নু বলেন, ‘আমরা যদি এটি গ্রহণ করি তাহলে খুব বেশি হাহাকারের দরকার নেই। কারণ সমস্ত জৈব সুরক্ষা বলয়ে অবশ্যই ক্রিকেটারদের মনে এক প্রকার ঝাঁকুনি তৈরি করে। কেউ যদি বিরতি নিতে চায় তাহলে কারণ দর্শানোর কিছু নেই। ‘
দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ও একটি আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলার জন্য দীর্ঘ দিন জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবল থাকার পর তিক্ততা প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও।
বায়ো বাবল নিয়ে তামিম ইকবাল তখন বলেছিলেন, ‘জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা ভালো কিছু নয় কারণ আপনার চারপাশে আপনার পরিবার রয়েছে কিন্তু আপনি তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না। আমার মনে হয় সামনে এগিয়ে যেতে কিছু খেলোয়াড়কে কিছু সিরিজ মিস করতে হবে। কারণ জৈব সুরক্ষা বলয়ে পরিবার থেকে দূরে থাকা সহজ নয়।
আসন্ন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে পারিবারিক কারণে তামিম ইকবাল নিজকে সরিয়ে নেওয়ার পর প্রশ্নটা তাই আরো জোরালো হয়েছে। এর আগে সন্তান সম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে পুরো নিউজিল্যান্ড সফর থেকেই ছুটি নিয়েছেন সাকিব আল হাসান।