পিএসজির বুকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল জিরোনা

কাগজ-কলমের হিসেব মতই মাঠের খেলায় পিএসজি পার্থক্যটা বুঝিয়ে দিয়েছিল ভাল ভাবেই। রেফারির বাঁশি বাজার পর থেকে অধিকাংশ সময় বলের দখল রেখে তাঁরা বুঝিয়ে দেয় ফেভারিট আসলে কোন দল।

ম্যাচের তখন অন্তিম মুহূর্ত, নুনো মেন্ডিসের মাটি কামড়ানো ক্রস খানিকটা এগিয়ে এসেই গ্লাভসবন্দী করতে চাইলেন গোলরক্ষক পাউলো গাজ্জানিগা। করেছিলেনও বটে, কিন্তু বলটা তাঁর গ্লাভসের ফাঁক গলে সোজা আশ্রয় নেয় জালে – ফলাফল আত্মঘাতী গোল। নব্বই মিনিটের অতিমানবীয় প্রতিরোধের পর এমন বেদনাদায়ক পরিসমাপ্তি জিরোনা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেনি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এবারই প্রথম খেলতে নেমেছিল জিরোনা, প্রথমবারেই তাঁদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন। তবে ভড়কে যায়নি তাঁরা, ৪-৩-২-১ ছকে পরিপূর্ণ ফুটবল খেলার পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামে। অন্যদিকে, লুইস এনরিকে একাদশ সাজিয়েছিলেন ৪-৩-৩ ফরমেশনে। দুই উইংয়ে দুই গতিময় তারকা উসমান ডেম্বেলে আর ব্র্যাডলি বারকোলা ছিল তাঁর পরিকল্পনার মূল অংশ।

কাগজ-কলমের হিসেব মতই মাঠের খেলায় পিএসজি পার্থক্যটা বুঝিয়ে দিয়েছিল ভাল ভাবেই। রেফারির বাঁশি বাজার পর থেকে অধিকাংশ সময় বলের দখল রেখে তাঁরা বুঝিয়ে দেয় ফেভারিট আসলে কোন দল।

যদিও গোলের দেখা পায়নি মার্কুইনহোসের বাহিনী, এমনকি প্রথমার্ধে একটা ক্লিয়ার কাট চান্সও তৈরি করতে পারেনি তাঁরা। তবে ৫৬ মিনিটের মাথায় ডেম্বেলে হাতছাড়া করেন সহজ সুযোগ, গাজ্জানিগাকে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি তিনি। মিনিট কয়েক পরে আবার তাঁর শট ফিরে আসে গোলবারে লেগে – গোল যেন এসেও আসছিল না।

ম্যাচের ৮৪ ও ৮৬ মিনিটে পুনরায় গোল করার খুব কাছাকাছি চলে আসে ফরাসি জায়ান্টরা। কিন্তু জিরোনার আঁটসাঁট রক্ষণ দুইবারই হতাশ করেছিল তাঁদের। ম্যাচটা তাই নিশ্চিত ড্রয়ের দিকেই যাচ্ছিল, হয়তো দুই দল মনে মনে সেই ফলাফল মেনেও নিয়েছিল। ঠিক তখনই ঘটে দুর্ঘটনা।

পুরো নব্বই মিনিট জুড়ে চীনের দেয়াল হয়ে থাকা গাজ্জানিগা কি করে এমন শিশুসুলভ ভুল করলেন সেটা বুঝে উঠতে সময় লাগবে নিশ্চয়ই। হাতের মুঠোয় থাকা পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়েছ যেন ভাগ্য বিধতা, তবে না জিতলেও শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তাঁদের এই প্রতিরোধ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হাইলাইটস হয়ে থাকবে।

Share via
Copy link