জয়সওয়ালের টি-টোয়েন্টি প্রদর্শনী

দুইদিনে কানপুর টেস্ট জয় সম্ভব কি না সেটা তো সময়ই বলে দিবে। তবে টিম ম্যানেজম্যান্ট যে সাহসী ভাবনা ভাবতে পেরেছে, জয়ের পরিকল্পনা করতে পেরেছে সেটার মূল কারণ জয়সওয়ালের মত ক্রিকেটারই, পলকেই যিনি প্রতিপক্ষকে ধুমড়ে মুচড়ে দিতে জানেন।

প্রবল বৃষ্টি কানপুরে, প্রথম দিন খেলা হলো মাত্র ৩৫ ওভার। পরের দুইদিন সেই বৃষ্টির প্রভাবে এক বলও গড়ায়নি মাঠে – চতুর্থ দিনেও আবার বৃষ্টি। তবে এবার প্রাকৃতিক বৃষ্টি নয় বরং বাউন্ডারির বৃষ্টি দেখা মিলেছে। আর সেটার পুরোধা যশস্বী জয়সওয়াল, টি-টোয়েন্টি মেজাজে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে মাত্র ৩১ বলেই হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন তিনি।

বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে জায়গা পাননি এই ব্যাটার, সেজন্যই বোধহয় টি-টোয়েন্টি খেলার বাসনা সাদা পোশাকেই মিটিয়ে নিয়েছেন তিনি। কাট শট, ড্রাইভ আর সুইপ, সবমিলিয়ে তাঁর ব্যাটে রীতিমতো আগুন ঝরেছে এদিন।

আগের ম্যাচেই ফাইফার পেয়েছিলেন হাসান মাহমুদ, অথচ জয়সওয়াল তাঁকে পাত্তাই দিলেন না। প্রথম ওভারেই টানা তিন বলে তিন চার হাঁকিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কি হতে যাচ্ছে বাইশ গজে। আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত এই আগ্রাসনের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছিলেন তিনি, এক মুহূর্তের জন্য স্বস্তি দেননি সফরকারীদের।

অন্যপ্রান্তে রোহিত শর্মাও ঝড় তুলেছেন, দু’জনের তাণ্ডবে তিন ওভারেই দলীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয় ভারত। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসেই এমনটা আর দেখা যায়নি, তখন বাঁ-হাতি ওপেনারের নামের পাশে ছিল ১৩ বলে ৩০ রান। ওভারপ্রতি প্রায় ১৫ রান করে ৫৫ রানের জুটি গড়েছিলেন তাঁরা, তারপরই বিদায় নেন রোহিত।

কিন্তু তরুণ যশস্বীকে থামানো যায়নি, তাণ্ডব চালিয়ে গিয়েছেন টাইগার বোলারদের ওপর। শেষমেশ ৫১ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। ততক্ষণে দলীয় সংগ্রহ তিন অঙ্কের গন্ডি পেরিয়ে গিয়েছিল, শুধু তাই নয় তাঁর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে টেস্ট ইতিহাসের দ্রুততম দলীয় শতকের রেকর্ড গড়ে টিম ইন্ডিয়া।

দুইদিনে কানপুর টেস্ট জয় সম্ভব কি না সেটা তো সময়ই বলে দিবে। তবে টিম ম্যানেজম্যান্ট যে সাহসী ভাবনা ভাবতে পেরেছে, জয়ের পরিকল্পনা করতে পেরেছে সেটার মূল কারণ জয়সওয়ালের মত ক্রিকেটারই, পলকেই যিনি প্রতিপক্ষকে ধুমড়ে মুচড়ে দিতে জানেন।

Share via
Copy link