Social Media

Light
Dark

দানিয়েল মালদিনি, মালদিনি শ্রেষ্ঠত্বের নতুন অধ্যায়

দানিয়েল হলেন কিংবদন্তি পাওলো মালদিনির ছেলে। সিজার মালদিনি তাঁর দাদা। দাদা ও বাবার মত দানিয়েলও যথারীতি এসি মিলানের প্রোডাকশন। পূর্ব পুরুষদের দেখানো পথে হেঁটেই এবার জাতীয় দলে এসেছে মালদিনিদের তৃতীয় প্রজন্ম।

এসেছেন নতুন মালদিনি, তাঁকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান। নতুন মালদিনির নাম দানিয়েল, দানিয়েল মালদিনি। প্রথমবারের মত জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন। নেশন্স লিগের দুটি ম্যাচকে সামনে রেখে তিনি ডাক পেয়েছেন ইতালি দলে।

দানিয়েল হলেন কিংবদন্তি পাওলো মালদিনির ছেলে। সিজার মালদিনি তাঁর দাদা। দাদা ও বাবার মত দানিয়েলও যথারীতি এসি মিলানের প্রোডাকশন। পূর্ব পুরুষদের দেখানো পথে হেঁটেই এবার জাতীয় দলে এসেছে মালদিনিদের তৃতীয় প্রজন্ম।

ইতালির সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার পাওলো মালদিনি জাতীয় দলের হয়ে ১৯৮৪ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ১২৬ ম্যাচ খেলেছেন। অন্যদিকে, ১৯৬০-এর দশকে সিজার মালদিনি ইতালির হয়ে ১৪ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন।

সিনিয়র দুই মালদিনি এসি মিলানের ইতিহাসেরই সর্বকালের সেরা দুই তারকা। সিজার মালদিনি মিলানে খেলেছেন ১২ বছর। ১২ বছরে মিলানের জার্সিতে গায়ে নেমেছেন ৩৪৭ ম্যাচ, করেছেন মাত্র ৩ গোল। চারটি লিগ টাইটেলের সাথে রয়েছে নিজেদের প্রথম ইউরোপিয়ান কাপের স্বাদ; সেটাও জিতেছেন অধিনায়কের আর্মব্যান্ড হাতে নিয়ে।

মিলান ক্যারিয়ারে সব জিতেই ১৯৬৬ সালে দল ছেড়েছিলেন সিজার। মিলান ছাড়ার এক বছর পর ১৯৬৭ সালে অবসর নিয়েছিলেন ফুটবল থেকে। ফুটবল ছাড়ার এক বছর পরেই মালদিনি আর স্ত্রী মারিয়া লুইসার কোলজুড়ে আসে সন্তান পাওলো মালদিনি।

বাবার দেখাদেখি ফুটবলে হাতেখড়ি হয়েছিল পাওলো’র। বাবার মত নিজেও পছন্দ করতেন বল আটকাতে। দশ বছর হতেই মিলান একাডেমিতে ভর্তি করিয়ে দেন সিজার মালদিনি। মাত্র ১৬ বছর বয়সে উদিনেসের বিপক্ষে মাঠে ডাক পান পাওলো।

২০০৯ সালে অবসরের আগে মিলানের জার্সিতে মোট ৬৪৭ টি সিরি ‘এ’ ম্যাচ নেমেছিলেন মিলানের জার্সি গায়ে। বাপ-ব্যাটা মিলে খেলেছিলেন মোট ৯৯৪টি সিরি ‘এ’ ম্যাচ।

সিরি-আতে মালদিনি পরিবারের সহস্র পূরণ করতে প্রয়োজন ছিল মাত্র ছয়টি ম্যাচের। সেই অধ্যায়ের সূচনা হয় ২০২১ সালের সাত জানুয়ারি। সান সিরোতে এসি মিলান বিপক্ষে নামে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী জুভেন্টাস। মাঠে নামেন দানিয়েল মালদিনি।

চার বছরে ১৫ ম্যাচ খেলে করেন একটা গোল। ২২ বছর বয়সী দানিয়েল জানুয়ারিতে ধারে মোঞ্জোয় খেলতে গিয়েছিলেন। এরপর এবারের গ্রীষ্মে সাত বারের ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়ন মিলান তাকে স্থায়ীভাবে বিক্রি করে দেয়। মিলানের মালদিনি অধ্যায়ের আপাতত এখানেই সমাপ্তি।

Share via
Copy link