নেইমারের বার্সেলোনায় আসা কতটা যৌক্তিক?

যদি সার্বিক দিক গুলো বিবেচনায় নেয়া হয় সেক্ষেত্রে নেইমারকে দলে ভেড়ানো বেশ শ্রমসাধ্য। আবার দলে ভেড়ানোর পরেও দলের জন্য এক কথায় বাহুল্য ছাড়া কিছু হতে পারবেন এই তারকা।

দলবদলের বাতাসে মৃদু গুঞ্জন। ২০২৫-এর গ্রীষ্মে নেইমার জুনিয়র নাকি বার্সেলোনায় ফিরছেন। সভাপতি হুয়ান লাপোর্তের এই পদক্ষেপ কি আদতেই কাতালানদের পক্ষে যুক্তিযুক্ত?

ত্রিশোর্ধ নেইমারের সবথেকে বড় দুর্বলতা তার ঘন ঘন ইনজুরিতে পড়া। ফলে ক্যারিয়ার থেকে বারবার ঝরে পড়ছে দরকারি খেলার সময়। অথচ বার্সেলোনার দলে দরকার এমন একজন যিনি মাঠে হবেন নিয়মিত মুখ।

২০২৩ সালে সৌদি আরবের দল আল হিলালে যোগ দেন নেইমার। গুরুতর এসিএল ইনজুরিতে পড়ে প্রায় পুরো মৌসুম মাটি হয় তাঁর। মাত্র পাঁচ ম্যাচে মাঠে দেখা যায় তাঁকে। এর আগেও পিএসজি দলে বেশ কিছু ম্যাচ কাটাতে হয়েছে সাইড লাইনে। ১৮-১৯ মৌসুম জুড়ে বিভিন্ন সময়ে কয়েক বার ইনজুরিতে পড়েন তিনি। খাতা থেকে ঝড়ে পড়ে ৩৩ টি ম্যাচ।

২০২১/২২ মৌসুমে পড়েন গোড়ালির ইনজুরিতে। ফলে আবারও ১৫ ম্যাচ দর্শক সারিতে থাকেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। সেই মৌসুমে পরে আবারও গোড়ালিতে অস্ত্রপচার করায় ১৭ ম্যাচের জন্য ছিটকে পড়েন এই ব্রাজিলিয়ান। বৈচিত্র্যময় খেলোয়াড় নেইমার। হরেক রকম পজিশনে খেলার দক্ষতা থাকলেও সাচ্ছন্দ্য তাঁর লেফট উইংয়ে।

অন্যদিকে, হ্যান্সি ফ্লিকের দলে তুলনামূলক তরুণ ও ফিট দুজন লেফট উইংগার রয়েছে। যারা হলেন ফেরান তোরেস ও রাফিনহা। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তোরেসের খেলার কিছুটা অবনতি হয়েছে। তবে রাফিনহার পারফরম্যান্স কার্যকর। ক্রমেই নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন নেইমারের এই সতীর্থ।

সেক্ষেত্রে বর্তমান ফর্ম বিবেচনায় মূল একাদশে নেইমারের স্থান নেই বললেই চলে। পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে ম্যানেজার ফ্লিক নিকো উইলিয়ামস কেও দলে ভেড়াতে পাড়েন। যিনি নিজেও ইউরোতে আলো ছড়ানো লেফট উইংগার। ফলে নেইমারের যোগ হওয়াটা এক প্রকার তেলে মাথায় তেল দেয়ার মত।

এবার আসি নেইমারের বেতনের কথায়। নেইমার আল হিলাল থেকে পেতেন ১০০ মিলিয়ন ইউরো। যা পিএসজির বেতনের চেয়েও পাঁচ গুন বেশি। এদিকে অর্থ খরায় ভুগতে থাকা দল এফসি বার্সেলোনা। নেইমার নিজের বেতন কমিয়ে আনতে চাইলেও দলের পক্ষে তা দেয়া অত্যন্ত কঠিন।

তাছাড়া লা লিগা আইনে বার্সেলোনায় এক প্লেয়ার নিতে আরেক প্লেয়ার ছাড়ার ঘটনা নিত্তনৈমিত্তিক। উদাহরণ হিসেবে ইল্কায় গুন্ডোয়ানের কথা ধরা যায়। যদিও পাড় ব্রাজিল বা বার্সেলোনা ভক্ত অনেকেই আশায় বুক বাধছেন। আশা তাদের প্রিয় তারকাকে ক্যাম্প ন্যু মাঠে দেখবেন। এদিকে নেইমারেরও চুক্তি প্রায় শেষ। অন্যদিকে দলবদলের গুঞ্জন।

তবে, যদি সার্বিক দিক গুলো বিবেচনায় নেয়া হয় সেক্ষেত্রে নেইমারকে দলে ভেড়ানো বেশ শ্রমসাধ্য। আবার দলে ভেড়ানোর পরেও দলের জন্য এক কথায় বাহুল্য ছাড়া কিছু হতে পারবেন এই তারকা।

Share via
Copy link