খেলোয়াড় উৎপাদনে নজর কাড়ছে ইকুয়েডর

ফুটবল জগতে প্রতিভা তৈরির কারখানা হয়ে উঠেছে ইউকুয়েডর। যা ক্লাব বিশ্বেই কেবল আশীর্বাদ নয়। আগামীর ফুটবল বিশ্বের জন্যও এ এক সতর্কবার্তা। নীরবেই ইকুয়েডর হয়ে উঠছে লাতিন জায়ান্ট হিসেবে।

ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে লাতিন আমেরিকার খেলোয়াড়দের কদর বেশ পুরনো। বিশেষ করে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার। কিন্তু সে ধারায় পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। ইকুয়েডরকেও প্রাধান্য দিতে শুরু করেছে ইউরোপের ক্লাবগুলো।

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার বাইরে গিয়ে কলম্বিয়া কিংবা চিলি ছিল ক্লাবগুলোর স্কাউটিংয়ের তালিকায় উপরের দিকে। কিন্তু দিন বদলেছে, এখন ভিন্ন পথেও হাঁটছে তারা। ইকুয়েডরে পাঠিয়ে দিচ্ছে সুদক্ষ একেকজন স্কাউট। পেয়ে যাচ্ছে  চমৎকার সব প্রতিভা।

এক সময় যে ইকুয়েডর পরিচিত ছিল কার্লোস তেনেরিও, হুগো রোডালডো আর ভ্যালেন্সিয়া ভাইদের দিয়ে। তবে সেই চিত্রেই এসেছে পরিবর্তন।

ইকুয়েডরের মাঝ মাঠের মইসিস কাইসেডো এখন চেলসি মাঝ মাঠের সারথি। রেকর্ড পরিমান ১১৫ মিলিয়ন পাউন্ডে আসেন ব্রাইটন থেকে চেলসিতে। পার্ফরম্যান্স জোড়ে  ব্রাইটনে থাকতেই দাম ঠেকে তার ৭০ মিলিয়ন পাউন্ডে।

প্রিমিয়ার লিগে ২২ বছর বয়সী এ তারকা খেলেছেন ৮৭ ম্যাচ। রক্ষণাত্মক মিডে খেলে তিন গোল ছয় এসিস্ট তার। ম্যাচ প্রতি ৫৭.০২ পাস দিয়েছেন তিনি। যেখানে ১৯৪ সফল লং বল। সাথে ট্যাকল সাফল্য ৫২ শতাংশ।

এছাড়া বুন্দেসলিগায় গত মৌসুমে অপরাজিত লেভারকুসেন দলের রক্ষণভাগের সঙ্গী ছিলেন পিয়েরো হিনকাপি। লিগে গত মৌসুমে ২৬ ম্যাচে মাত্র ৯ গোল হজম করেন তিনি। চলতি মৌসুমেও ৫০ শতাংশ ক্লিন শিট তার।

লাতিন প্রতিভা সমাজে কেন্ড্রি পায়েজ নামটা বেশ সাড়া ফেলেছে। ১৭ বছর বয়সী আক্রমণাত্মক এই মাঝ মাঠের তারকা দেশের হয়ে খেলেছেন ১৫ ম্যাচ। যাতে আছে দুই গোল। তাছাড়া ঘরোয়া লিগেও চলতি মৌসুমে ৮ ম্যাচে ২ গোল তার। ২৫/২৬ মৌসুমে ১৮ মিলিয়ন ইউরোতে চেলসি শিবিরে দেখা যাবে তাকে।

এমনই আরেক তরুণ হচ্ছেন পিএসজির সেন্টার ব্যাক উইলিয়াম প্যাচো। ২৩ থেকেই দেশের জার্সি বিশ্বকাপ নির্বাচনী ম্যাচ খেলেছেন ৯টা। ২২ বছর বয়সী এই রক্ষণভাগের তারকা সেখানে একটাও গোল হজম করেননি। পিএসজি জার্সিতে ম্যাচ প্রতি ১.৬ ট্যাকল তার। সাথে আছে ১.৯ ইন্টারসেপশন ও ৩.৩ ক্লিয়ারেন্স ও করেছেন তিনি।

ফুটবল জগতে প্রতিভা তৈরির কারখানা হয়ে উঠেছে ইউকুয়েডর। যা ক্লাব বিশ্বেই কেবল আশীর্বাদ নয়। আগামীর ফুটবল বিশ্বের জন্যও এ এক সতর্কবার্তা। নীরবেই ইকুয়েডর হয়ে উঠছে লাতিন জায়ান্ট হিসেবে।

Share via
Copy link