বিচিত্র সব মুখরোচক খাবারে ছেয়ে আছে ভারত। সে সবের মাঝ থেকে ঋষাভ পান্তের প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার। আর তাইতো ঋষাভের রাঁধুনি ‘পারফেন্স বুস্টার’ তৈরি করে দেন তার জন্য। খাবার প্লেটে যেন নিত্য-নতুন আয়োজন নিয়ে হাজির হন, তবে তাতে বাদ যায় না পুষ্টির দিকটি।
ঋষাভ পান্তের প্রত্যাবর্তনের গল্পটা কেবল একজন ক্রিকেটারের জীবন নয়; এটা এক অসাধারণ সংগ্রামের কাহিনী। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের সেই ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনা, যা ঋষাভের জীবনে এনে দিয়েছিল অন্ধকারের ছায়া। কিন্তু সেই অন্ধকারের মাঝে আশার একটি আলো হয়ে উঠলেন রাঁধুনি অক্ষয় অরোরা।
অ্যাক্সিডেন্টের পর থেকে ঋষভ তাঁর নিউট্রিশন নিয়ে আরও বেশি সচেতন হয়েছেন। অক্ষয়ই এখন তাঁর খাওয়া-দাওয়ার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছেন, যত্ন করে পুষ্টিকর খাবার তৈরি করছেন। সঙ্গে রয়েছেন পুষ্টিবিদ শ্বেতা শাহ, যিনি ঋষাভের নিউট্রিশন প্ল্যানের দিকে নজর রাখছেন।
শ্বেতা বলেন, ‘আগে ঋষাভ সবসময়ই হোটেলে গিয়ে খেতেন, কিন্তু সেখানে ভালো রাঁধুনি ছিল না। তাই তাঁর নিউট্রিশন প্ল্যান করা জরুরি ছিল। আমি ঋষাভের ম্যানেজারকে জানিয়েছিলাম, পরিকল্পনামাফিক এগোতে হবে, কিন্তু তা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই শেষ পর্যন্ত অক্ষয়কে নিয়োগ করা হয়েছে। এখন ঋষাভ সঠিক খাবার পাচ্ছেন, কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ করছেন না।’
তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, ঋষাভের খাবারে আমরা শুধুমাত্র চিকেনই দিতে পারি। কিন্তু অক্ষয় সেই চিকেন দিয়েই একাধিক পদ তৈরি করে। এই ব্যাপারে আমরা কখনো কল্পনাও করিনি। খাবারে স্বাদ ও পুষ্টিগুণ—দুইই বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে।’
পান্তের খাদ্য তালিকায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার এবং যথেষ্ট হাইড্রেশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শেফ অরোরা খাদ্যকে আকর্ষণীয় করতে নানা বৈচিত্র্য আনেন। চালে নানা রূপ এনে খাদ্যে নতুনতা আনা যায়, যেমন- রাইস নুডল, দোসা, রাইস ক্র্যাকার — প্রতিটি পদ যেন এক একটি গল্প বলছে, যা ঋষভকে নতুন প্রেরণা দেয়।
ঋষভ পন্তের এই যাত্রা আমাদের শেখায়—সংকটের মাঝেও দৃঢ়তা এবং অধ্যাবসায় কিভাবে আমাদের জীবনকে বদলে দিতে পারে। এটি একটি অনুপ্রেরণার গল্প, যেখানে আমাদের লক্ষ্যগুলোকে সঙ্গী করে এগিয়ে চলার গুরুত্ব সত্যিই অসাধারণ।