অধিনায়কত্বের নতুন দায়িত্ব। আর এমন ম্যাচে ব্যাট হাতে ডাব্বা মেরেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। না, তিনি খালি হাতে প্যাভিলিয়নে ফেরেননি। রান করেছেন ৪৪টি। কিন্তু এই সংগ্রহ পাকিস্তানের কোন কাজে আসেনি, উল্টো বিপদে ফেলেছে পাকিস্তানকে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে রিজওয়ান অধ্যায় সূত্রপাত হয়েছে পাকিস্তানে। মেলবর্নে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে একেবারে কোণঠাসা হয়ে আছে গোটা পাকিস্তান। অধিনায়ক রিজওয়ান যে দায় এড়াতে পারেন না কোনভাবেই।
৪৪ রানের এই ইনিংসটিতে রিজওয়ান ব্যাট চালিয়েছেন স্রেফ ৬১.৯৭ স্ট্রাইক রেট। রীতিমত টেস্ট ধারার ব্যাটিং করেছেন তিনি। ৭১টি বল খেলে গেছেন তিনি আউট হওয়ার আগে। বর্তমান সময়ে এমন ব্যাটিং অপরাধের সামিল বটে। চাপের বলয়ে তিনি দলকে যেমন ঠেলে দিয়েছেন, তেমনি বাবর আজমকেও টেনে ডুবিয়েছেন চাপের মহা সমুদ্রে।
এই দুইজনে গড়েছিলেন ৬৬ বলে ৩৯ রানের জুটি। সেই জুটিতে ৩১ বল খেলে মোটে ১২ রান সংগ্রহ করেন রিজওয়ান। অন্যদিকে, বাবরের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে ২৬ রান। বাবর আজম এদিন শুরুটা ভাল করেছিলেন বটে। বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলেছেন তিনি। পাকিস্তানের বাকি ব্যাটাররাও অজি বোলিং আক্রমণের সামনে থতমত খেয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু বাবর ছিলেন সাবলীল। তবে রিজওয়ান উইকেটে আসা মাত্রই, চাপ বাড়তে শুরু করে। ৯ বলে ১১ রান করছিলেন তখন বাবর। এরপর যখন বাবর ৪৪ বলে ৩৭ করে আউট হন, তখন রিজওয়ানের রান ছিল ৩১ বলে ১২ রান। অজিদের তখন ১৮ ওভার করা শেষ। পাকিস্তানের স্কোরবর্ডে রান কেবল ৬৭।
সেটাই অন্তত প্রমাণ করে, রিজওয়ানের নেতিবাচক ব্যাটিং ঠিক কতটা বিপদে ফেলেছে পাকিস্তানকে। অধিনায়কত্বের উত্তাপটা সম্ভবত এখনই টের পেতে শুরু করেছেন রিজওয়ান। দায়িত্বভারও সম্ভবত তাকে আরও খানিকটা খোলস-বন্দী করে দিচ্ছে হয়ত। এমনিতেও খানিক ধীর গতির ব্যাটার তিনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেট তার ৮৯ এর একটু বেশি।
এখন দেখবার পালা, রিজওয়ান নিজেকে বদলে আদতে ফেলতে পারেন কি-না। নিজেকে বদলাতে না পারলে যে দলকে বদলানোও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে তার জন্য। নতুবা তাকে স্বল্প সময়ের মধ্যেই ছাড়তে হবে অধিনায়কের দায়িত্ব। পাকিস্তান ক্রিকেটে যে বেহাল দশা, তাতে সমালোচনার অগ্নিপথে হেঁটে বিদায় নিতে হবে তাকে।