নতুন কোচ পেয়ে নতুন জীবন পেয়েছে ইংল্যান্ড। আর পুনর্জন্মের মধ্য দিয়ে তাঁরা হয়ে উঠেছে আরো হিংস্র, আরো ভয়ঙ্কর। প্রতিপক্ষকে স্রেফ হারিয়ে তুষ্টি মেলে না তাঁদের, গোল বন্যায় ভাসিয়ে দিয়ে তবেই থামে। আপদকালীন কোচ লি কার্সলি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচ খেলেছে দলটি, এর মধ্যে জিতেছে পাঁচ ম্যাচেই আর সবমিলিয়ে গোল করেছে ১৬টি!
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচেই তো ৫-০ ব্যবধানে জিতলো থ্রি লায়ন্স। পাঁচ পাঁচজন ভিন্ন গোলদাতার সুবাদে বিশাল জয় এলো তাঁদের ঘরে। মজার ব্যাপার, এই পাঁচ জনের মধ্যে চারজনই প্রথমবারের আন্তর্জাতিক ফুটবলে গোলের দেখা পেয়েছেন। অ্যান্থনি গর্ডনকে দিয়ে শুরু, অতঃপর একে একে গোলের খাতা খুলেছেন কনর গ্যালাগার, জ্যারড বাউয়েন, টেইলর হারউড বেলিস।
অবশ্য আয়ারল্যান্ড এদিন নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দারুণভাবে সাজিয়েছিল। প্রথমার্ধে ইংলিশদের শক্তিশালী ফরোয়ার্ড লাইনকে পুরোপুরি নিষ্প্রাণ করেই রেখেছিল। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে দ্বিতীয়ার্ধে।
৫১ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি হজম করে বসে আইরিশরা, স্পট কিক থেকে গোল করতে কোন ভুল হয়নি হ্যারি কেইনের। স্কোরবোর্ডে পরিবর্তন আসতেই পৌরাণিক কোন চরিত্র ভর করে স্বাগতিকদের ওপর। নিষ্প্রাণ ফরোয়ার্ড লাইন হয়ে উঠে বিধ্বংসী, তাতেই পাঁচ মিনিটের মাঝে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় তাঁরা। জয়টা তখনি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।
তবে বদলি হিসেবে নামা বাউয়েন আর বেলিস গোল করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি। এর মধ্য দিয়ে কার্সলি পেয়েছেন সবচেয়ে বড় জয়ের স্বাদ, অন্যদিকে ইংল্যান্ড নেশন্স লিগ বি থেকে নেশন্স লিগ এ তে উন্নীত হলো।
কার্সলি যুগের ইতি ঘটলো সম্ভাব্য সুন্দর উপায়েই, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর কোচিং, শেষটাও করলেন একই প্রতিপক্ষকে হারিয়ে। সেই সাথে টমাস টুখেলের জন্য দারুণ একটা আবহ তৈরি করে দিলেন তিনি, দলটার ড্রেসিংরুমে এখন বইছে বসন্তের হাওয়া। জুড বেলিংহ্যামরা তৈরি, তৈরি পুরো ব্রিটিশ সাম্রাজ্য – সাফল্যের সন্ধানে ছোটার পালা এবার।