দুই ওভারে দুই উইকেট। দ্বিতীয় দিনের সকাল। ঠিক এমন কিছুর স্বপ্ন নিশ্চয়ই বাংলাদেশ দেখছিল। সেই স্বপ্নটা সত্যি করলেন হাসান মাহমুদ, তাঁর দূর্ধর্ষ এক স্পেলে। আগের দিন উইকেট শূণ্য থাকলেও – সকালের এক স্পেলে তিনি ছন্নছাড়া করে দিলেন উইন্ডিজ ব্যাটিং লাইন আপ।
দিনের শুরুটা তাহলে সব সময় সত্যি কথা বলে না! প্রথম বলটা একেবারেই নিরীহ গোছের ছিল। লেগ সাইড দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় ছুঁয়ে যায় ব্যাটার জাস্টিন গ্রিভসের প্যাড।
ফাস্ট বোলারের জন্য একেবারেই আদর্শ সূচনা নয়। কে জানত – সেই ওভারেই একটা অব্যর্থ ডেলিভারি অপেক্ষা করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য। আর সেই ডেলিভারিতে সাজঘরে জশুয়া ডা সিলভা।
এলবিডব্লিউয়ের জন্য নেওয়া রিভিউ নিয়েও কোনো লাভ হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এখান থেকেই হাসান মাহমুদের ঘাতক হয়ে ওঠার সূচনা হয়। পরের ওভারটাতে যেন তার আরও চূড়ান্ত এক প্রদর্শনী।
আলজারি জোসেফ প্রথম বলটায় বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সূচনা করেছিলেন। তবে, দ্বিতীয় বলেই একটা স্টানার! জোসেফের ব্যাট হয়ে বল গালিতে গিয়ে জমা পড়ল জাকিরের হাতে। জাকিরকেও কৃতিত্ব দিতে হয়, যেহেতু তিনি দলের সবচেয়ে লম্বা খেলোয়াড়দের একজন নন, ক্যাচটা ধরার জন্য শূন্যে শরীরটা তুলে দিতে হয়েছিল তাঁকে।
ওই ওভারের শেষ বলে ফিরতে পারতেন কেমার রোচও। তাঁকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেছিলেন হাসান মাহমুদ। কিন্তু, আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান তিনি। তারপরও দিনের শুরুটা এর আগেই লেখা হয়ে গেছে হাসান মাহমুদের নামে।