এনজো ফার্নান্দেজ ছুটছেন আলোর গতিতে, মাঝের দুঃসময় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন দারুণভাবে। এফসি নোয়াহর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ছন্দে ফিরেছিলেন তিনি, এরপর কেবলই মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন। তাঁর পায়ের জাদুতে একের পর এক ম্যাচে জয় তুলে নিচ্ছে চেলসি এবং আর্জেন্টিনা, উভয়েই।
সবশেষ ম্যাচেই তো লেস্টার সিটি হেরে গেলো এই মিডফিল্ডারের একক নৈপুণ্যের কাছে। নব্বই মিনিট জুড়ে দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সের প্রদর্শনী দেখিয়েছেন তিনি; সেই সাথে অ্যাসিস্ট করেছেন, গোল করেছেন – একেবারে প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়া পারফরম্যান্স যাকে বলে।
অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরে এদিন মাঠে নেমেছিলেন আর্জেন্টাইন তরুণ। দায়িত্ব তাই বেড়ে গিয়েছিল, আর সেটাই বোধহয় তাঁকে বাড়তি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। ম্যাচের শুরু থেকেই তাঁর শরীরী ভাষায় ফুটে উঠেছিল ব্যাপারটা। এক গোল, এক অ্যাসিস্টের পাশাপাশি তিনটা সুযোগ তৈরি করেছেন; ডুয়েল জিতেছেন সাতটা।
মাত্র পনেরো মিনিটের মাথায় স্কোরবোর্ডে নাম তোলেন তিনি। ডি বক্সের ঠিক ভিতরে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়েই পাস বাড়িয়ে দেন নিকোলাস জ্যাকসনের দিকে, বাকি কাজ এই স্ট্রাইকার একাই করেন৷ নিখুঁত ফিনিশিংয়ে খুঁজে নেন জালের ঠিকানা।
দ্বিতীয় গোলেও জুটি গড়েছেন এনজো এবং জ্যাকসন; জোয়াও ফেলিক্সের ক্রস থেকে হেডারে লেস্টার গোলরক্ষকের পরীক্ষা নেন জ্যাকসন। সেই প্রচেষ্টায় গোল না হলেও রিবাউন্ডে লিড দ্বিগুণ করেন এনজো – শেষদিকে অবশ্য এক গোল শোধ দিতে সক্ষম হয় লেস্টার, পেনাল্টি থেকে বল জালে জড়ান জর্ডান আয়িউ।
যদিও দিন শেষে বিশ্বকাপজয়ী তারকার পারফরম্যান্সই সবচেয়ে বড় হাইলাইট হয়ে আছে। একাদশে জায়গা হারানো থেকে শুরু করে দাম্পত্য জীবনে ভাঙ্গন; পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছিল তাঁর। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দলের নেতা বনে যাওয়া দারুণ একটা গল্প বটে।
চেলসির জার্সি গায়ে শেষ চার ম্যাচে পাঁচ অ্যাসিস্ট এবং গোল করলেন এই প্রতিভাবান। এছাড়া আন্তর্জাতিক বিরতিতে একটা অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। সবমিলিয়ে দুর্দান্ত সময় কাটছে তাঁরা, এখন কেবল ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পালা।