পরপর দুইবার লিভারপুলকে বাগে পেয়েছিল সাউদাম্পটন। তবু লিভারপুলকে হারানো দূরে থাক, ড্র-ও করতে পারলো না তাঁরা। কারণ, অলরেডি শিবিরে আছেন লিওনেল মেসি! দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সে মূল্যবান তিন পয়েন্ট এনে দিয়েছেন তিনি। না, ম্যাচের লাইনআপ খুঁজতে হবে না। আসল মেসি নয় বরং বলা হয়েছে মিশরীয় মেসি মোহামেদ সালাহর কথা।
বিরতি থেকে ফেরার মিনিট দশেক পরেই ২-১ গোলে পিছিয়ে যায় লিভারপুল। এরপরই নড়েচড়ে বসেন সালাহ, ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়ার দায়িত্ব তুলে নেন নিজের কাঁধে – তাঁকে আর আটকে রাখতে পারেনি সাউদাম্পটনের রক্ষণভাগে।
শুরুটা হয়েছিল রায়ান গ্রাভেনবার্চের লফটেড পাস থেকে, দারুণভাবে সেই পাস নিয়ন্ত্রণে নেন অলরেড উইঙ্গার। তারপরই ডি বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি, ঠান্ডা মাথায় বাম পায়ের শটে কাঁপিয়ে দেন জাল – মোমেন্টাম পেয়ে তাঁর তীক্ষ্ণতা বেড়ে যায় আরো কয়েক গুণ।
রাইট উইং থেকে এই তারকার ক্রস ফেরাতে গিয়েই শেষদিকে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছিলেন ইয়ুকিনারি সুগাওয়ারা। ফলাফল, পেনাল্টি পেয়ে যায় লিভারপুল। আর সেখান থেকে গোল করার জন্য সালাহর চেয়ে ভাল কেউ বোধহয় হতে পারতেন না।
একেবারে টপ কর্নার নিশানা করে দলকে প্রথমবারের মত লিড এনে দেন তিনি। ঠিক দিকেও ঝাঁপ দিয়ে ঠেকাতে পারেননি অ্যালেক্স ম্যাককার্থি। পাওয়ার এবং প্লেসমেন্টের নিখুঁত সমন্বয় বটে। হ্যাটট্রিকও পেতে পারতেন, ৮৮ মিনিটের সময় তাঁর ভলি ফিরে আসে বারপোস্টে লেগে। সেন্টিমিটার এদিক সেদিক হলেই পূর্ণ হতে পারতো মাইলফলক। তবে আক্ষেপ থাকার কথা নয়, দিন শেষে দলের জয়টাই তো সবচেয়ে আরাধ্য।
এই নিয়ে চলতি প্রিমিয়ার লিগে দশ গোল করলেন সালাহ, তাঁর নামের পাশে অ্যাসিস্ট আছে আরো ছয়টি। সবমিলিয়ে স্কোরবোর্ডে নাম তোলার ক্ষেত্রে তিনিই সবার উপরে। লিভারপুলের টেবিল টপার থাকার পিছনে তাঁর অবদান কতটা বেশি সেটা তাই বলার অপেক্ষা রাখে না।