নতুন কোচ রুবেন আমরিমের অভিষেক ম্যাচ, অধীর আগ্রহে তাই ইপ্সউইচ বনাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যাচে চোখ রেখেছিল রেড ডেভিল সমর্থকেরা। তবে শেষমেশ হতাশা নিয়ে ম্যাচ শেষ করতে হয়েছে, অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাঁদের। টেবিলের রেলিগেশন জোনে থাকা দলের বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগি মেনে নেয়া সত্যিই কঠিন।
অথচ শুরুটা হয়েছিল স্বপ্নের মতন, মার্কাস রাশফোর্ড গোল দিয়ে স্বাগত জানিয়েছিলেন নতুন গুরুকে। ম্যাচের তখন মাত্র এক মিনিট পার হয়েছে, বিদ্যুৎ গতিতে আমাদ দিয়ালো ঢুকে পড়েন রাইট উইং ধরে। দুই ডিফেন্ডারকে পিছনে ফেলে তিনি একেবারে নিঁখুত ক্রস দেন ডি বক্সে। একেবারে গোলকিপারের সামনে এসে সেই ক্রসে মাথা ছোঁয়ান রাশফোর্ড – ফলাফল আন্দাজ করাটা নিশ্চয়ই কঠিন কিছু না।
সময়ের সাথে সাথে অবশ্য স্বাগতিকরা গুছিয়ে নেয় নিজেকে, এক পা দুই পা করে হানা দেয় ইউনাইটেডের রক্ষণভাগে। পিছিয়ে থেকেও গতিময় ফুটবলের যে প্রদর্শনী তাঁরা দেখিয়েছে সেটার পুরষ্কার মিলেছে হাতে নাতেই।
বিরতির ঠিক আগে ওমারি হ্যাটচিনসন বিস্ময় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন পুরো স্টেডিয়ামে। গোলপোস্ট থেকে তখনো বিশ গজের বেশি দূরত্বে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি, তবু ভরসা ছিল নিজের ওপর। ওয়েস বার্নস কাছ থেকে বল নিয়ে প্রথমে ক্যাসেমিরোকে বোকা বানান, অতঃপর শট নেন গোলপোস্ট লক্ষ্য করে। সমতায় ফেরে ট্র্যাক্টর বয়েজ।
প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে খেলা কিছুটা ধীর হয়ে এসেছিল, স্কোরলাইনেও আসেনি কোন পরিবর্তন। যদিও দুই দল গোলের চেষ্টা করেছে সমানে সমানে, তবে ইপ্সউইচ প্রশংসা প্রাপ্য। টেবিলের তলানিতে থেকেও যেভাবে আক্রমণাত্মক খেলা খেলেছে সেটা তাঁদের সাহসের সাক্ষ্য দেয়। এমনকি আন্দ্রে ওনানা দুর্দান্ত কিছু সেভ না দিলে হেরেই বসতো রেড ডেভিলরা।
এই একটা ম্যাচ আমরিমকে বাস্তবতা বুঝিয়ে দিলো, প্রথমদিনেই তিনি বুঝে ফেললেন দলটার সমস্যা কতটা গভীরে – সংবাদ সম্মেলনেও সেটা উল্লেখ করেছেন তিনি। এখন দেখার বিষয়, সমস্যা সমাধানে তাঁর ভূমিকা আসলে কেমন হয়।