খানিক বিপাকেই যেন পড়ে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সি ব্যাঙ্গালুরু। ক্রুনাল পান্ডিয়া ও স্বপ্নিল সিংকে একই ছাদের নিচে নিয়ে এসেছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। আর তাতেই যেন দলের ভেতর ফাটলের একটা গুঞ্জন ছড়িয়ে গেছে সর্বত্র। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স দলটি বরাবরই সংগ্রাম করে আইপিএলে। এবার তাদের সংগ্রামের মাত্রা যেন বেড়ে দাঁড়াল।
ফ্র্যাঞ্চাইজিটি স্বপ্নিল সিংকে ৫০ লাখ রুপিতে ‘রাইট টু ম্যাচ’ (আরটিএম) ব্যবহার করে দলে নিয়েছে। অন্যদিকে, ক্রুনাল পান্ডিয়াকে ৫.৭৫ কোটি রুপিতে দলে ভিড়িয়েছে। একই দলে যোগ দেওয়ার পর পুরোনো একটি দ্বন্দ্বের ভিডিও নতুন করে ইন্টারনেট কাপাচ্ছে।
সেই ভিডিওর একটি ক্লিপে দেখা যায় স্বপ্নিল সিং বলছেন যে তিনি দেশের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের একজন ছিলেন। কিন্তু বরোদার স্কোয়াড নির্বাচনের সময় তাকে জানানো হয় যে দলে তার জন্য জায়গা নেই। উল্লেখযোগ্য হলো, সেই সময় বরোদার অধিনায়ক ছিলেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।
স্বপ্নিল সিং বলেছেন, ‘আমি বরোদার হয়ে সর্বাধিক রান সংগ্রাহক ছিলাম এবং অনেক উইকেটও নিয়েছিলাম। ২০১৯ সালে আমি সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের দুই বা তিন নম্বর অলরাউন্ডার ছিলাম। তারপর ২০২০ সালে কোভিড হিট করে এবং এরপর বরোদার স্কোয়াড নির্বাচন হয়। আমি ধারাবাহিকভাবে খেলছিলাম এবং মনে করেছিলাম আমার নির্বাচন নিশ্চিত। আমি আমার অধিনায়কের সঙ্গে দেখা করি। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন যে দলে আমার জায়গা নেই। তখন আমি সরাসরি তাকে বলি, আমি ভারতের সেরা দুই অলরাউন্ডারের মধ্যে একজন, এটা কীভাবে সম্ভব? তিনি বলেছিলেন, আমার জায়গা একজন তরুণ খেলোয়াড়কে দেওয়া হয়েছে। আমি তার এই কথা মেনে নিয়েছিলাম।’
ক্রুনাল পান্ডিয়ার সঙ্গে এই দ্বন্দ্বের পর স্বপ্নিল সিংকে ইরফান পাঠান উত্তরাখণ্ড দলের সঙ্গে যুক্ত হতে সাহায্য করেন। স্বপ্নিলই প্রথম খেলোয়াড় নন যার সঙ্গে ক্রুনাল পাণ্ডিয়ার সমস্যা হয়েছে। ক্রুনাল নিজের ক্ষমতার যেন অপব্যবহার করতে পিছপা হননা।
দীপক হুদার সঙ্গেও ক্রুনালের একই ধরনের সমস্যা হয়েছিল। যেখানে ক্রুনাল, হুদাকে দল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সূত্র মতে অপমানজনক ভাষাও ব্যবহার করেছিলেন ক্রুনাল। পুরনো কেঁচো খুড়ে ফেলেছে সকলে। এখন দেখবার বিষয় ক্রুনাল-স্বপ্নিলের ব্যক্তিগত দ্বন্দ ব্যাঙ্গালুরুকে ঠিক কতটুকু প্রভাবিত করে।