এগিয়ে এসেছিলেন এডারসন, কিন্তু ইগর পিক্সাও তাঁকে কাটিয়ে বেড়িয়ে যান। এরপর ঠান্ডা মাথায় ফার পোস্টে ড্যাভিন হ্যাঙ্কোকে খুঁজে নেন তিনি। পরের গল্পটা দুর্ধর্ষ কোন উপন্যাসের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতন। নদীর উত্থান পতন আর জোয়ার ভাটার সাথে তুলনা করার মতন।
ম্যাচের ৭৫ মিনিটেও ৩-০ গোলে এগিয়ে ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। টানা পাঁচ ম্যাচ জয়ের পর ষষ্ঠ ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেতে যাচ্ছে তাঁরা, এমনটাই হয়তো ধরে নিয়েছিল তাঁরা। কিন্তু ম্যাচের পরের পনেরো মিনিট যা হলো সেটা ব্যাখ্যাতীত।
জয় নিশ্চিত ভেবেই ম্যানসিটির ডিফেন্স লাইনে নেমে এসেছিল শিথিলতা, সেটারই ফায়দা নিয়েছে ফেয়েনুর্ড। লং বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ভুল করেন গাভার্দিওল, সেই সুযোগে বল নিয়ে এডারসনের দিকে ছুটে যান আনিস মৌসা এবং গোলও আদায় করে নেন ঠান্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে।
স্বাগতিকদের ছন্দপতন ঘটেছিল তখনি, মিনিট কয়েক পরেই সান্তিয়াগো গিমেনেজ গোল করে বসেন। আর সব শেষে দলকে সমতায় ফেরান হ্যাঙ্কো; ম্যাচের ৭৫ মিনিট পর্যন্ত ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেও ডাচ প্রতিনিধিরা মাঠ ছেড়েছে ৩-৩ গোলে ড্র করে। হাল না ছাড়ার অভূতপূর্ব একটা উদাহরণ বটে। ইতিহাসও বলছে সে কথা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এর আগে কোন দলই এতক্ষণ পর্যন্ত তিন গোলে এগিয়ে থেকে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেনি।
অথচ শুরুটা কি রঙিনভাবেই না হয়েছিল। বিরতির ঠিক আগে পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন আর্লিং হাল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধে সেই মোমেন্টাম ধরে রেখে আরো দুই গোল আদায় করে নিয়েছিল সিটিজেনরা। ৫০ মিনিটের মাথায় গুন্দোয়ান এবং তিন মিনিট পরেই স্কোরবোর্ডে আবার নাম তোলেন হাল্যান্ড।
যদিও লাভের লাভ হয়নি কিছুই, পেপ গার্দিওলা জিততেই ভুলে গিয়েছেন। ম্যানেজার হিসেবে এমন দু:সময়ের মুখোমুখি আগে কখনো হননি তিনি। কিভাবে ঘুরে দাঁড়াবে তাঁর দল সেটাই এখন দেখার বিষয় – নাকি আরো একটা অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটবে এবার, স্যাক হবেন বস গার্দিওলা? বাজে পারফরম্যান্স চলমান থাকলে সম্ভাবনা অবশ্য উড়িয়ে দেয়া যায় না।