ঋষাভ পান্তের মূল্য দেখে অনেকেরই চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে অনেকের। একটা মতবাদ ঘুরে বেড়াচ্ছে সর্বত্র, ২৭ কোটি রুপি একটু বেশিই বাড়াবাড়ি! কিন্তু এটাও যে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের জন্যে হয়েছে ‘ভ্যালু ফর মানি’।
একেবারে নতুন ফ্রাঞ্চাইজি লখনৌ সুপার জায়ান্টস। বাকিদের তুলনায় ভীষণ নবাগত। এমন এক ফ্রাঞ্চাইজির প্রয়োজন ছিল সর্বজন স্বীকৃত একজন চরিত্র। এই মুহূর্তে ঋষাভ পান্তের চাইতে ভাল কোন বিকল্প সম্ভবত নেই ভারতীয় ক্রিকেটে।
একটা প্রাণঘাতি দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরেছেন। হাঁটুর সমস্ত লিগামেন্ট ছিড়ে হয়েছিল একাকার। সেখান থেকে লড়াই চালিয়ে তিনি ফিরেছেন খেলার মাঠে। এ যেন রীতিমত এক সিনেমা। যে দেশের মানুষের কাছে সিনেমার নায়করা পরম আরাধ্য, তারা খেলার মাঠেও খুঁজতে চায় একজন নায়ক সুলভ চরিত্র।
সেই চরিত্রটা পেয়ে গেছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। এখন তারা দুইভাবে লাভবান হতে পারেন। প্রথমত দলের পরিকল্পনার কেন্দ্র তারা খুঁজে পেয়েছেন। নির্ভীক এক চরিত্র ঋষাভ পান্ত। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে ভালবাসেন। ঝুঁকি নিতেও পিছপা হন না।
এমন একজনকে নিশ্চয়ই অধিনায়ক করতে চাইবে লখনৌ। তাতে করে সফলতার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। আর সফলতা বাড়লেই তো বাড়বে উপার্জন। সেই সাথে সমর্থকগোষ্ঠীদের মধ্যে বাড়তি উন্মাদনার সঞ্চার ঘটবে। তাতে করে মাইলেজ বাড়বে এবং সমানুপাতিক হারে বাড়বে ব্যবসা।
ঋষাভের একটা বিরাট ভক্তকূল রয়েছে। তারা নিশ্চয়ই এখন লখনৌয়ের প্রতি আগ্রহ দেখাবেন। লখনৌয়ের নিয়মিত খোঁজ নেবেন। তাতে করে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের সাথে থাকা পৃষ্টপোষকদের প্রচারণাও বাড়বে। আর ঋষাভ যদি সফলতা এনে দিতে পারেন, তাহলে নিশ্চয়ই ব্র্যান্ড ভ্যালুও বাড়বে লখনৌয়ের।
তাছাড়া ব্যাটার ঋষাভ যেকোন দলের জন্যে আশির্বাদ। যেকোন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জেতানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। কঠিন সব ম্যাচে লখনৌয়ের জন্যে তুরুপের তাস হিসেবে সামনে চলে আসতে পারেন ঋষাভ পান্ত। এত সব সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই ঋষাভের জন্যে বিপুল অর্থ খরচে কার্পণ্য করেনি লখনৌ সুপার জায়ান্টস।