রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই লিভারপুলের জন্য প্রতিশোধের মঞ্চে, সেটা মোহামেদ সালাহ কখনো মুখ ফুটে বলেছেন কখনো বলেননি। তবে প্রতিবারই তাঁরা চোয়াল শক্ত করে মাঠে নেমেছিলেন একটা জয়ের জয়, ২০১৮ কিংবা ২০২২ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য।
সেই ইচ্ছে অবশেষে পূরণ হলো, রিয়াল মাদ্রিদকে হারাতে সক্ষম হয়েছে লিভারপুল। অ্যানফিল্ডে ২-০ গোলের দারুণ একটা জয় পেয়েছে তাঁরা, ২০০৯ সালের পর এবারই প্রথম স্প্যানিশ জায়ান্টদের ধরাশায়ী করতে পারলো দলটি। তাঁদের পক্ষে গোল করেছেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার এবং কডি গ্যাকপো।
অবশ্য প্রতিশোধের জন্য এর চেয়ে বড় সুযোগ আর হতে পারতো না, একদিকে অলরেডরা ছিল উড়ন্ত ফর্মে। নতুন কোচ আর্নে স্লট এখন পর্যন্ত পরাজয়ের স্বাদ পাননি, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তো আগের চার ম্যাচের সবকয়টিতেই জিতেছিলেন। অথচ লস ব্ল্যাঙ্কোসদের অবস্থা উল্টো, ইউরোপীয় টুর্নামেন্টে নিজেদের শেষ ম্যাচেই হেরেছিল তাঁরা।
সাম্প্রতিক সময়ে এই দুই দলের লড়াই মানেই শিরোনাম ভিনিসিয়াস জুনিয়রের দখলে। করিম বেনজেমার পর লিভারপুলের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ গোল করেছিলেন তিনি, কিন্তু চোটের কারণে তাঁকে এদিন পায়নি রিয়াল – সব মিলিয়ে পরাজয়টাই বোধহয় বেশি প্রত্যাশিত ছিল।
এমন দিনে মোহাম্মদ সালাহর আনন্দ সর্বোচ্চ হওয়ার কথা, ২০১৮ সালের ফাইনালে অনাকাঙ্ক্ষিত এক ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়েছিল তাঁকে। শিরোপা খোয়ানোর পাশাপাশি খেলা হয়নি বিশ্বকাপেও। তাই তো মাদ্রিদ বধের স্বপ্ন তাঁর মনে লালন করেছিলেন অনেকদিন, সেই স্বপ্ন সত্যি হলো বটে। যদিও আনন্দে ভাটা পড়েছিল ৭০ মিনিটের সময় – পেনাল্টি মিস করেছেন তিনি।
একই ভুল করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পেও, মিনিট দশেক আগে স্পট কিক পেয়েও সুযোগ হেলায় হারান তিনি। সেই যাত্রায় গোলটা আদায় করে নিলে হয়তো ম্যাচের ভাগ্য অন্যরকম হতে পারতো। আপাতত হারের তিক্ত স্বাদ নিয়েই ফিরতে হচ্ছে রিয়ালকে, একই সাথে শঙ্কা জেগেছে পরের রাউন্ডে খেলতে পারার সম্ভাবনা নিয়েও।