চীনের মহা প্রাচীর নাকি এমিলিয়ানো মার্টিনেজ – কাকে টপকে যাওয়াটা বেশি সহজ হবে? ভাবুন, ভাবনা শুরুর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এমিলিয়ানো মার্টিনেজের পারফরম্যান্সে চোখ বুলিয়ে নিবেন অবশ্যই। পাঠকের উত্তর কি হবে সেটা জানা না গেলেও তাঁর বিপক্ষে খেলা প্রতিটা ফুটবলার যে চীনের মহা প্রাচীরকেই বেছে নেবে সেটা নিশ্চিত। কারণ তাঁরা তো জেনে গিয়েছে এমিকে টপকে যাওয়া কতটা দুঃসাধ্য।
প্রথম তিন ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলা খেলেছে ইয়ং বয়েজ, বায়ার্ন মিউনিখ এবং বলোগনার বিপক্ষে। আর এই তিন ম্যাচে এমির হজম করা মোট গোলসংখ্যা শূন্য ! অর্থাৎ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিষেকেই ক্লিনশিটের হ্যাটট্রিক করে বসেছিলেন তিনি।
ক্লাব ব্রুগের বিপক্ষে একটু বোধহয় ব্যতিক্রম হয়েছিল, একটা গোল হজম করে ফেলেছিলেন এই আর্জেন্টাইন। তবে ভুল শুধরে নিতে দেরি হয়নি, পরের ম্যাচেই জুভেন্টাসের বিপক্ষে আবারো দেয়াল রূপে ফিরেছেন তিনি। একটা বলও তাঁকে ফাঁকি দিয়ে জালের ঠিকানা খুঁজে পায়নি।
যদিও অ্যাস্টন ভিলা নিজেদের দুর্ভাগা ভাবতেই পারে, অন্তত শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তার পর এমন ভাবনটাই স্বাভাবিক। ৯৪ মিনিটের সময় জুভেন্টাসের গোলরক্ষক লুইস ডি গ্রেগরির হাত থেকে বল ফসকে গেলে মরগ্যান রজার্সের গোল করে বসেন। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে রেফারির সিদ্ধান্তে; বল ধরার সময় গ্রেগরিকে ফাউল করা হয়েছিল জানিয়ে গোল বাতিল করা হয়। স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো ভিলা পার্ক।
শুধু তাই নয়, পুরো ম্যাচ জুড়েই আধিপত্য বিস্তার করেছিল স্বাগতিকরা। তবু তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে না পারাটা আক্ষেপের বটে। সাম্প্রতিক সময়টা আসলে তাঁদের পাশে নেই, এই নিয়ে টানা সাত ম্যাচ জয়বিহীন তাঁরা – উনাই এমেরি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এমন দুঃসময় আর আসেনি ক্লাবটির জন্য।
তবু অ্যাস্টন ভিলার গর্ব করা উচিত, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় দল হিসেবে প্রথম তিনটি হোম ম্যাচে ক্লিনশিট রাখার রেকর্ড গড়েছে তাঁরা। নিঃসন্দেহে এটির পিছনের কারিগর এমিলিয়ানো মার্টিনেজ – ইউরোপের সর্বোচ্চ মঞ্চে খেলার স্বপ্নটা তিনিই দেখিয়েছিলেন সতীর্থদের, এখন তিনিই একা হাতে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন আরো দারুণ কিছু করার স্বপ্নটাকে।