সায়িম আইয়ুব, মোহাম্মদ হাফিজ ২.০?

এর আগে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমেছিল পাকিস্তান। সেই ইনিংসেও ওপেনার হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তিন চার ও এক ছক্কার মারে করেছেন ৩৭ বলে ৩১ রান। আরেক ওপেনার আবদুল্লাহ শফিকের সঙ্গে তাঁর ৫৮ রানের অনবদ্য জুটিটাই মূলত বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছে পাকিস্তানকে।

ব্যাট হাতে ওপেনিং করেন সায়িম আইয়ুব, বল হাতেও ওপেনিং করতে জানেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেটাই করেছেন তিনি, দুই ইনিংসেরই সূচনা হয়েছে তাঁর হাত ধরে। অনেকটাই যেন মোহাম্মদ হাফিজের স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন।

এই তরুণের মূল পরিচয় কিন্তু ব্যাটার, সাথে পার্ট টাইম অফ স্পিন করে থাকেন। তবে তিনি যে পার্ট টাইমারের চেয়ে বেশি কিছু তা প্রমাণ হলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে। ৩০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে যখন দলটির দুই ওপেনার ক্রিজে এসে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন পাক অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান বল তুলে দেন তাঁর হাতে।

সিদ্ধান্তটা যে এমনি এমনি নেয়া হয়নি সেটা বোঝা গিয়েছে খানিক সময় পরেই, ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই জয়লর্ড গাম্বির উইকেট তুলে নেন ডানহাতি স্পিনার। তবে এখানেই শেষ হয়নি সব।

একই ওভারের পঞ্চম বলে আবারো আঘাত হানেন তিনি, সুইপ শট খেলতে গিয়ে তাঁর ফাঁদে পা দেন ডিয়ন মায়ার্স। পরের বলেও তৈরি হতে পারতো উদযাপনের উপলক্ষ, উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে বসেছিলেন ক্রেইগ আরভিন। তবে ভাগ্য ভালো, বলটা স্লিপ আর উইকেটরক্ষকের মাঝখান দিয়ে চলে গিয়েছে বাউন্ডারির দিকে।

অর্থাৎ এই তারকাকে দিয়ে যে চমক তৈরি করতে চেয়েছিল পাকিস্তান, সেটা সফলভাবে করতে পেরেছে তাঁরা। বোলার হিসেবে তাঁর সামর্থ্যও আগের তুলনায় স্পষ্ট হয়েছে।

এর আগে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমেছিল পাকিস্তান। সেই ইনিংসেও ওপেনার হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তিন চার ও এক ছক্কার মারে করেছেন ৩৭ বলে ৩১ রান। আরেক ওপেনার আবদুল্লাহ শফিকের সঙ্গে তাঁর ৫৮ রানের অনবদ্য জুটিটাই মূলত বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছে পাকিস্তানকে।

পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২৪৯ রান, গড় ৬২.২৫ এবং স্ট্রাইক রেট ১২০.২৯! বল হাতে আছে তিন উইকেট – বলতেই হয়, এই ফরম্যাটে সায়িম আইয়ুবের শুরুটা প্রত্যাশার চেয়ে ভাল হয়েছে। এখন কেবল ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পালা।

Share via
Copy link