রিশাদ গ্রাম বাংলার সেই চিরচেনা নদী

জাতীয় দলের জার্সি গায়ে সময়টা ভাল যাচ্ছিলনা রিশাদের। খারাপ পারফরমেন্সের কারণে ডাগআউটে বসে কাটাতে হয়েছে তাকে। কিন্তু গ্লোবাল সুপার লিগে ঠিকই আলো ছড়াচ্ছেন তিনি। 

রিশাদ হোসেন বাড়ির পাশের নদীর মত। কখনো খরা, কখনো বহমান ধারা। লেগ স্পিনারের জীবনটাই যেন এমন। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে সময়টা ভাল যাচ্ছিলনা রিশাদের। খারাপ পারফরমেন্সের কারণে ডাগআউটে বসে কাটাতে হয়েছে তাকে। কিন্তু গ্লোবাল সুপার লিগে ঠিকই আলো ছড়াচ্ছেন তিনি।

রংপুর রাইডার্সের হয়ে গ্লোবাল সুপার লিগ খেলছেন রিশাদ। সেখানেও বাংলাদেশের পতাকা বাহক তিনি। রোমাঞ্চকর প্রথম ম্যাচে হেরেছিল রংপুর। সে ম্যাচেও রিশাদের নামের পাশে ছিল একটি উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার দল ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে এবার তিনি পেয়েছেন দুইটি উইকেট।

প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা রানের পাহাড় গড়ছিলেন। কারও কাছে যেন ছিল না তাদের প্রতিউত্তর। কিন্তু রিশাদ হাজির হন উইকেট প্রাপ্তির যাদুর ছড়ি হাতে। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ভিক্টোরিয়ার প্রথম উইকেট শিকার করেন তিনি। আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ব্লেক ম্যাকডোনাল্ড।

এরপর আবার ব্যক্তিগত শেষ ওভারের শেষ বলে উইকেট এসে যুক্ত হয় রিশাদের নামের পাশে। ৩১ রান করা সঞ্জয় কৃষ্ণামূর্তিকে ফেরান তিনি। এই দুই উইকেট প্রাপ্তির পাশাপাশি মোটে ২৩টি রান খরচা করেছেন রিশাদ। তাতে করে ভিক্টোরিয়ার রানের চাকার গতি হ্রাস পায়।

রিশাদ যখন বাইশ গজে আসেন বল হাতে তখন ভিক্টোরিয়ার সংগ্রহ ৬ ওভারে ৫০ রান। যেই ধারায় এগিয়ে যাচ্ছিল ভিক্টোরিয়া, তাতে করে জয়ের লক্ষ্য রংপুরের হাতের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারত। কিন্তু তেমনটি হতে পারেনি রিশাদের কারণে।

দারুণ খেলতে থাকা দুই ব্যাটারকেই তিনি দেখিয়েছেন সাজঘরের পথ। তাতে করে রান তোলার ছন্দে পড়ে ভাটা। আর তাতেই বাড়ে রংপুরের জয়ের আশা।

Share via
Copy link