কার্যত অসহায় আত্মসমর্পণই করল ভারত। অ্যাডিলেডে গিয়ে অস্তমিত হল পার্থে ওড়া ভারতের পতাকা। আগের দিনের ব্যাটিং বিপর্যয় অব্যহত রইল তৃতীয় দিন সকালেও। ফলাফল, আড়াই দিনের কম সময় স্থায়ী হল অ্যাডিলেড টেস্ট। আর সেই টেস্টের পাতায় পাতায় লেখা রইল ভারতের ব্যর্থতার কাব্য। রোহিত শর্মার দলকে হারতে হল দশ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।
প্রথম ইনিংসে ভারত করেছিল ১৮০ রান। ম্যাচটা আসলে সেখানেই শেষ। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত করল তার থেকেও পাঁচ রান কম। বাকিটা স্রেফ তাই নিয়মরক্ষার লড়াই। মাত্র ১৯ রানের লক্ষ্যে চতুর্থ ইনিংসে খেলতে নামা আর না নামা আসলে একই ব্যাপার অস্ট্রেলিয়ার জন্য।
দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন ট্রাভিস হেড নামের এক দানব। তাঁর ১৪০ রানের অবিশ্বাস্য মারকুটে ইনিংসটাই অ্যাডিলেডের ভাগ্য নিয়ন্ত্রক। অন্যদিকে, টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের ব্যাটিং অর্ডার আবারও ঢেলে সাজানো উচিৎ কি না ভারতের? – সেই প্রশ্ন তাই এখন তোলাই যায়।
আগের টেস্টে ভারতের বোলাররা তাও ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এবার সেটাও হয়নি। দিবারাত্রীর টেস্টে ১৫৭ রানের লিড অনেক বড় ব্যাপার। অ্যাডিলেডে তাই অস্ট্রেলিয়া চালকের আসনে ছিল নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসের পরই।
পরিসংখ্যান ছিল ভারতের বিপক্ষে। দিবারাত্রীর ম্যাচে এখন অবধি মাত্র দু’বার ৫০ এর বেশি লিড থাকার পরও হারের স্বাদ পাওয়ার নজীর আছে মাত্র দু’টো। অস্ট্রেলিয়াকে এই স্বাদটা দেওয়ার জন্য যেটা দরকার ছিল, সেটা করতে পারেনি ভারতের ব্যাটাররা।
বরং মিশেল স্টার্ক, স্কট বোল্যান্ড আর প্যাট কামিন্সরা রীতিমত আগুন ঝড়িয়েছেন। সেই আগুনের বিপরীতে ভারত প্রতিরোধ গড়তে পেরেছে খুবই সামান্যই। আর আগুনের মাত্রাটা একটু বেশিই ছিল প্যাট কামিন্সের বোলিংয়ে। অজি অধিনায়ক নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। পান্ত-রেড্ডিরা বিদায় নিয়েছেন মাথা নিচু করে।