আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল ম্যাচের কথা ভাবলেই মনের পর্দায় ভেসে উঠে জমজমাট কোন ফুটবলীয় লড়াইয়ের দৃশ্য। ফুটবল সাম্রাজ্যের দুই অধিপতির মাঝে দ্বৈরথ মানেই দর্শকদের জন্য রোমাঞ্চকর একটা অভিজ্ঞতা। গত ১৬ ডিসেম্বর আবারো মুখোমুখি হয়েছে দুই দল, তবে এবার ফুটবলে নয় বরং প্রতিযোগিতা হয়েছে ক্রিকেট মাঠে।
বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টি বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল ব্রাজিল জাতীয় দল। ফুটবলের মতই লড়াইটা হয়েছে সমানে সমানে, তবে শেষপর্যন্ত এগারো রানের জয় পেয়েছে লিওনেল মেসির দেশ।
এদিন টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সেলেসাওরা। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করতেই পাওয়ার প্লের মধ্যে স্রেফ ২৩ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট তুলে নেয় দলটির বোলাররা। তবে প্রতিরোধ গড়েন ওপেনার অগাস্তু রিভেরো, লুকাস মেন্ডিজাবালকে নিয়ে গড়েন ৪৮ রানের জুটি।
কিছুটা স্বস্তি পায় আলবিসেলেস্তারা, শেষদিকে আর কোন ব্যাটার দাঁড়াতে না পারলে ১০৭ রানেই থামে তাঁদের ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্রাজিল সূচনাতেই গন্ডগোল পাকিয়ে বসে। হার্নান ফেনেল এবং অ্যালান কির্সচবাউমের জোড়া আঘাতের সুবাদে মাত্র ৩১ রানের মাথায় পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে তাঁরা।
এই বিপর্যয় থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি; উমর সালিমের ২০ রান আর মাইকেল আসুনচাওয়ের ২৯ রান জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখলেও শেষমেশ তরী তীরে ভেড়াতে পারেনি। দশ উইকেট হারিয়ে ৯৬ রানেই থেমে যায় ব্রাজিলের ইনিংস। এই নিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে দুই ম্যাচ খেলে দুইটিতেই হারলো নেইমার, ভিনিসিয়াসের দেশ।
ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে সেটাই অনেকের কাছে অজানা। তবে ব্যাপারটা সত্য, বাংলাদেশের মত ওয়ানডে বা টেস্ট স্ট্যাটাস না থাকলেও টি-টোয়েন্টি স্ট্যাটাস আছে তাঁদের। হয়তো এমন একদিন আসবে যখন ফুটবলের মতন ক্রিকেটেও দুই দলের লড়াই আলোড়ন সৃষ্টি করবে পুরো দুনিয়া জুড়ে।