পেপ গার্দিওলার কি বিদায় বলা উচিত?

সবচেয়ে বড় কথা এই কিংবদন্তি কখনোই কোন দলকে রিবিল্ড করেননি। তিনি সবসময়ই শিরোপার লড়াই করে অভ্যস্ত। সেজন্যই শূন্য থেকে শুরু করার ব্যাপারে তাঁর অভিজ্ঞতা শূন্য। তাই তো নতুন ঘরানার যুদ্ধে এই মাস্টারমাইন্ড কতটা সফল হবেন তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। হয়তো চলতি মৌসুম শেষেই উত্তর মিলে যাবে।

একটার পর একটা ম্যাচ যাচ্ছে আর ম্যানচেস্টার সিটির অবস্থা সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে নিচের দিকে এগুচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরে এসিএলের ইনজুরিতে পড়েন রদ্রি, এরপর থেকে যেন জিততে ভুলে গিয়েছে ম্যানসিটি। সবশেষ এগারো ম্যাচে স্রেফ একবার জিতেছে তাঁরা, আর ম্যানচেস্টার ডার্বিতে হার তাঁদের অফ ফর্ম নিয়ে সব সংশয় দূর করে দিয়েছে।

মৌসুমের শুরুতেই চুক্তি নবায়ন করা পেপ গার্দিওলার সামনে এখন দুইটি পথ খোলা। হয় ইতিহাদে থেকে দলকে আগের জায়গায় পৌঁছে দিবেন, আর তা নাহলে দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ইয়ুর্গেন ক্লপের মত বিদায় বলে দিবেন। সেক্ষেত্রে হয়তো তাঁর গ্রেটেস্ট অব অল টাইম ট্যাগে দাগ লাগার ঝুঁকি থাকবে না।

এই স্প্যানিশ অবশ্য দায়িত্ব ছাড়তে রাজি নন, বিপর্যয়ের দায়ভার মাথায় নিয়ে সরে গেলে নিজের কাছেই নিজে ছোট হয়ে যাবেন। সেজন্যই তিনি থাকতে চান হাল্যান্ডদের সঙ্গেই। কিন্তু সেটা কি আদৌ বাস্তবসম্মত?

সিনিয়র ফুটবলারদের ওপর অতি-ভরসা তাঁর নেতিবাচক দিক। ইল্কাই গুন্দোগানকে ক্লাবে ফিরিয়ে আনা; অফ ফর্ম সত্ত্বেও কাইল ওয়াকার, বার্নান্দো সিলভাদের ব্যাপারে কঠিন সিদ্ধান্ত না নেয়া ম্যানসিটিকে পিছন থেকে টেনে ধরেছে।

তাছাড়া তরুণদের চিনতেও ভুল করছেন গার্দিওলা; মাতেও কোভাচিচ, জেরেমি ডকু, স্যাভিনহো, ম্যাথিউস নুনেজের জন্য কাড়ি কাড়ি টাকা ঢাললেও কেউই সেই অর্থে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। উল্টো জুলিয়ান আলভারেজের মত সম্ভাবনাময়ী ফরোয়ার্ডকে ক্লাব ছাড়ার পথ দেখিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া একাডেমি থেকে উঠে আসা কোল পালমার, লাভিয়া, পেদ্রো পোররোর মত প্রতিভাবান হাতছাড়া হয়েছে তাঁর কারণে।

সবচেয়ে বড় কথা এই কিংবদন্তি কখনোই কোন দলকে রিবিল্ড করেননি। তিনি সবসময়ই শিরোপার লড়াই করে অভ্যস্ত। সেজন্যই শূন্য থেকে শুরু করার ব্যাপারে তাঁর অভিজ্ঞতা শূন্য। তাই তো নতুন ঘরানার যুদ্ধে এই মাস্টারমাইন্ড কতটা সফল হবেন তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। হয়তো চলতি মৌসুম শেষেই উত্তর মিলে যাবে।

Share via
Copy link