করোনা ভাইরাসের কারণে এবার বাতিল ঘোষণা করা হলো এশিয়া কাপ। আগামী মাসে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের এই আয়োজন। এশিয়া কাপ বাতিল হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্রিকেট শ্রীলঙ্কার (এসএলসি) প্রধান নির্বাহী অ্যাশলে ডি সিলভা। যদিও, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি।
তিনি জানিয়েছেন ক্রিকেটারদের সুরক্ষার কথা ভেবেই এবারের এশিয়া কাপ আয়োজনের পথ থেকে সরে এসেছে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। তিনি আরো জানিয়েছেন আগামী দুই বছর প্রতিটা দলের খেলা ঠিক হয়ে থাকার কারণে অচিরেই আর এশিয়া কাপ আয়োজন সম্ভব নয়। ২০২৩ বিশ্বকাপের পরে অনুষ্ঠিত হতে পারে এশিয়া কাপের পরের আসর।
পাকিস্তানের আয়োজনে গত বছর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো এশিয়া কাপ। কিন্তু করোনা মাহামারীর কারণে এশিয়া কাপ স্থগিত করতে বাধ্য হয় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। এবারের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল জুন মাসে। তখন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলবে ভারত। ধারণা করা হচ্ছে এই কারণেও বাতিল হয়ে থাকতে পারে এই টুর্নামেন্ট।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি এহসান মানি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন ভারত ফাইনালে গেলে এশিয়া কাপ হবে না। কারণ ভারত ফাইনালে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই ঐ সময় অংশ নিতে পারবে না এশিয়া কাপে। আর ভারত অংশ না নিলে অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ড এবং সম্প্রচারকারীদের জন্য সব কিছু সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
এহসান মানি তখন বলেন, ‘এশিয়া কাপ গত বছরই হওয়ার কথা ছিল। এখন মনে হচ্ছে এবারো হবে না, কারণ জুনে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হবে। শ্রীলঙ্কা বলেছিল তারা জুনে এশিয়া কাপ আয়োজনের চেষ্টা করবে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ও এশিয়া কাপের সূচিতে সংঘর্ষ হচ্ছে। আমাদের মনে হচ্ছে এশিয়া কাপ হবে না। হয়ত ২০২৩ সাল পর্যন্ত টুর্নামেন্টটি স্থগিত করতে হবে।’
পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খানও একমত হয়েছিলেন এহসান মানির সাথে। তিনিও জানিয়েছিলেন চূড়ান্ত সিদ্বান্ত না হলেও মোটামুটি নিশ্চিত ভারত ফাইনালে উঠলে এবার এশিয়া কাপ হবে না। তিনি বলেছিলেন, ‘ভারত ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা আছে, সেক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের সাথে ওদের ফাইনাল হবে। এ কারণেই শ্রীলঙ্কায় এবার এশিয়া কাপ হবে না। আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছি।’
কিন্তু ভারত টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপের ফাইনালে ওঠার পর এশিয়া কাপে দ্বিতীয় সারির দল দিতে চেয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কারণে বাতিলই হলো এই টুর্নামেন্ট।