লামিন ইয়ামালের বার্সা আগুনে পুড়ে ছাই বেতিস

অবশ্য কথাটা ব্লাউগানা জার্সিধারীদের নিয়েও বলা যায়। রাফিনহা, দানি অলমো, গাভি সবাই স্কোরবোর্ডে নিজেদের নাম তুলতে পেরেছেন - কেউ গোল করেছেন, কেউ অ্যাসিস্ট করেছেন।

এল ক্ল্যাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদকে উড়িয়ে দেয়ার পর বার্সেলোনা আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর হয়ে উঠবে সেটা প্রত্যাশা ছিল সমর্থকদের। হয়েছেও তাই, রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে পাহাড়সম আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নেমেছিল তাঁরা। আর সেটার উত্তাপে পুড়ে ছারখার হয়ে গেলো বেতিস। ৫-১ গোলে দলটাকে উড়িয়ে দিয়ে লা লিগায় জয়ের ধারায় ফিরলো বার্সা।

এই ধ্বংসযজ্ঞে অবদান আছে প্রত্যেকের, পুরো দলের মিলিত প্রচেষ্টায় সফরকারীদের লজ্জায় ডুবিয়ে মারলো কাতালান জায়ান্টরা। তবে লামিন ইয়ামালের কথা আলাদা করে না বললে অন্যায় হবে; যতক্ষণ মাঠে ছিলেন স্রেফ ম্যাজিক দেখিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি।

অবশ্য ইয়ামাল মাঠে জাদু দেখাবেন, দর্শকদের চোখে অপার বিস্ময় এঁকে দিবেন এটাই তো স্বাভাবিক। বেতিসের বিপক্ষেও ব্যতিক্রম হয়নি, বার্সার হয়ে শেষ গোলটা এসেছে তাঁর পা থেকে। যদিও এর মিনিট বিশেক আগে গোল পেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু বেরসিক ভারের বাঁধায় উদযাপন করা হয়নি।

গোলের পাশাপাশি অ্যাসিস্টও করেছেন এই তরুণ, বুদ্ধিদীপ্ত ফ্লিকে তিনি গোলের সুযোগ বানিয়ে দেন জুলস কুন্দেকে। ফরাসি ডিফেন্ডার সেখান থেকে কোন ভুল করেননি। সবমিলিয়ে এদিন গোলের তিনটা সুযোগ তৈরি করেছেন ইয়ামাল, সফল ড্রিবলিং আছে পাঁচটা আর ডুয়েল জিতেছেন ছয়টা – অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স অথচ তাঁর ক্ষেত্রে এ নরমাল ডে এট অফিস!

অবশ্য কথাটা ব্লাউগানা জার্সিধারীদের নিয়েও বলা যায়। রাফিনহা, দানি অলমো, গাভি সবাই স্কোরবোর্ডে নিজেদের নাম তুলতে পেরেছেন – কেউ গোল করেছেন, কেউ অ্যাসিস্ট করেছেন, প্রত্যেকেই আসলেই ইম্প্যাক্টফুল।

লা লিগায় বার্সেলোনার সময়টা ভাল কাটছিল না, গত নভেম্বর থেকেই ঝামেলার শুরু। রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে হারের পর থেকে সাত ম্যাচ খেলে ফেললেও জিততে পেরেছে মাত্র একটা। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে জেতাটা তাই বড্ড দরকার ছিল তাঁদের, সেই জয়ের সুবাদে শিরোপা তো এসেছেই ঘরে। একই সাথে ড্রেসিংরুমে ফিরেছে স্বস্তি আর ভাল করার একগাদা জ্বালানি।

Share via
Copy link