দুর্দান্ত বোঝাপড়ার প্রমাণ দিয়ে জুড বেলিংহ্যাম ব্যাকহিল পাসে রদ্রিগোকে খুঁজে নিয়েছিলেন ডি বক্সের বাম পাশে। তখনো অবশ্য গোলের সত্যিকারের কোন আভাস পাওয়া যায়নি। কিন্তু অকল্পনীয় ব্যাপারটাকেই বাস্তবে রূপ দিয়েছিলেন তিনি, ওরকম দুরূহ কোন থেকে ডান পায়ের কার্ল শট – গোলরক্ষক গোল ঠেকানো তো দূরে থাক, বলই নাগাল পাননি।
এর আগে ২৩ মিনিটের সময় প্রথমবার লস ব্ল্যাকোসদের এগিয়ে দিয়েছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান। সেটাও যেন একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি, বেলিংহ্যামের অ্যাসিস্ট এবং তাঁর আত্মবিশ্বাসী শট সরাসরি জালে। সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতে সত্যিই ছন্দে আছেন এই তারকা – ফর্মের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা যাকে বলে।
তবে তিনি ম্লান হয়ে গিয়েছেন সতীর্থ ভিনিসিয়াস জুনিয়রের কাছে। রদ্রিগোর সমান দুইটি গোলই করেছেন ভিনিসয়াস, কিন্তু লাইমলাইট পাওয়ার ক্ষেত্রে যোজন যোজন এগিয়ে আছেন তিনি। অথচ ম্যাচের ভাগ্যটা প্রথমার্ধেই গড়া হয়ে গিয়েছিল রদ্রিগোর হাত ধরে।
ভিনি অবশ্য বাড়তি মনোযোগেরই যোগ্য; কেন সেটা, উত্তর জানতে আরবি সালজবুর্গের বিপক্ষে ম্যাচটা যথেষ্ট। লুকা মদ্রিচের পাস যেভাবে রিসিভ করে ভিতরে ঢু্কেছেন তিনি, কাটব্যাক করে গোল আদায় করে নিয়েছেন সেটা অসাধারণ।
এ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে ছয় ম্যাচে সাত গোল করলেন এই লেফট উইঙ্গার। নিঃসন্দেহে চলতি টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ফুটবলার তিনি। তাঁর মতই শ্রেষ্ঠত্বের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন ফেদেরিকো ভালভার্দে, তবে গোল বা অ্যাসিস্ট করেন তিনি। বরং নিজের চিরে পজিশন ছেড়ে ভিন্ন পজিশনে খেলেও শতভাগ উজাড় করে দিয়েছেন।
কার্ড ইস্যুতে লুকার ভাস্কুয়েজের এদিন খেলার কথা নয়, রিয়াল মাদ্রিদে তো এখন ব্যাকআপ রাইটব্যাকও নেই। তাই উরুগুইয়ান অধিনায়ককে সেই দায়িত্ব নিতে পাঠিয়েছেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি, তাতেই বাজিমাত করেছেন তিনি। রাইট উইং দিয়ে প্রতিপক্ষ বলতে গেলে কোন এটাকই করতে পারেনি। প্রথাগত রাইটব্যাক না হয়েও এমন সলিড পারফরম্যান্স এককথায় অবিশ্বাস্য।
পয়েন্ট টেবিলে রিয়ালের অবস্থান এখন ১৬ নম্বরে, দ্বিতীয় রাউন্ড তাই প্রায় নিশ্চিত। এরপর নকআউটের বাঁধা ডিঙিয়ে যেতে পারলে তো কতকিছুই।