নামেই শুধু দুর্বার রাজশাহী, কিন্তু পারিশ্রমিক ইস্যুতে আদতে তাঁরা দূর্বল রাজশাহী। আর সেই পারিশ্রমিক নিয়ে আরেক পশলা নাটক হয়ে গেল দলটির টিম হোটেলে। যার ফলশ্রুতিতে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দলের বিদেশি ক্রিকেটাররা।
তাই, দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে দল সাজিয়ে বাধ্য হয়ে মাঠে নেমেছে রাজশাহী। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এটা রীতিমত নজীরবিহীন এক ঘটনা। পারিশ্রমিক ইস্যুতে এরকম ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি বিপিএলে।
মূলত, বিদেশি ক্রিকেটাররা বেঁকে বসেছেন পারিশ্রমিক নিয়েই। আরেক দফা ক্রিকেটারদের চেক দিয়ে শান্ত করতে চেয়েছে দলের মালিক পক্ষ ভ্যালেন্টাইন গ্রুপ। সেই চেক নিয়ে রাজি হয়েছেন এনামুল হক বিজয় কিংবা তাসকিন আহমেদরা।
কিন্তু, সন্তুষ্ট হননি বিলাল খান, রায়ান বার্ল, মার্ক দেয়াল, মোহাম্মদ হারিস কিংবা মিগুয়েল কামিন্সের মত বিদেশি ক্রিকেটাররা। এর মধ্যে লঙ্কান ক্রিকেটার লাহিরু সামারাকুন এক টাকাও পাননি বলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে অভিযোগও করেছেন।
এর মধ্যেই রোববার দুপুর বেলা জানা যায় রাজশাহী দল টিম হোটেল ছেড়ে দিয়েছে। ওয়েস্টিন হোটেলের বাইরে হট্টগোলও হতে দেখা যায়। পরে চেক দিয়ে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের শান্ত করে ভ্যালেন্টাইন গ্রুপের মারিক শফিক রহমান। সেই চেকের ছবি দল-সহ ফেসবুকে পোস্টও করেন এনামুল হক বিজয়।
তবে, বিদেশিরা রাজি হয়নি। কারণ, এর আগেও চেক বাউন্সের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা মাঠে আসেনি। বিদেশিদের রাজি করানোর জন্য দলের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকার বোনাস দেওয়ার কথাও বলা হয়। কিন্তু, মিষ্টি কথায় চিড়ে ভিজেনি। এমনকি, শেষ দিন তাঁরা মিরপুরের অনুশীলনে ছিলেন না, পারিশ্রমিক না পেলে বিপিএল ছেড়ে দেশেও ফিরে যেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
দিনের প্রথম ম্যাচ শেষে রাজশাহী দলের টিম বাস মিরপুরে পৌঁছায়। এই যখন অবস্থা তখন বিসিবির গাড়ি পৌঁছায় টিম হোটেলে। উদ্দেশ্য বিদেশি ক্রিকেটারদের রাজি করিয়ে মাঠে আনা। ম্যাচ শুরুর আগেও তাঁরা মাঠে এসে পৌঁছাননি, কিংবা তাদের রওনা দেওয়ার কোনো খবরও পাওয়া যায়নি। টিম হোটেল কিংবা মিরপুরে এই ইস্যুতে চলছে টানটান উত্তেজনা।
বিপিএলের বাইলজ অনুযায়ী প্রতিটা দলে অন্তত দু’জন করে বিদেশি ক্রিকেটার খেলাতেই হবে। তবে, রাজশাহী সেটা করতে পারেনি। বিসিবিও বাধ্য হয়ে সেই নিয়ম ভাঙার অনুমতি দিচ্ছে।
অবশ্য, বিসিবিই বা নিয়ম মানছে কোথায়, কথা দিয়ে কথা রাখছে কোথায়! যা আগে কখনও ঘটেনি, তার সব কিছুই দেখা যাচ্ছে এবারের বিপিএলে!