একটি ইনজুরির বিনিময়ে পাওয়া স্যালুট!

সুযোগ পেয়েই এবাদত বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর বোলিংয়ের সামনে খেলতে হলে আজও ব্যাটারদের ভয় পেতে হয়। আজও তাঁর সামনে পড়লে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়ার ঝুঁকি থাকে!

টো ক্রাশিং ইয়র্কার। বলের লাইন মিস করলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পা স্পর্শ করে বল আঘাত হানল স্ট্যাম্পে। বোল্ড! ব্যাস, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) প্রথমবারের মত স্যালুট দেওয়ার সুযোগ পেলেন এবাদত হোসেন।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে বয়ে গেল একটা স্বস্তির সুবাতাস। দ্য গ্রেট এবাদত হোসেন ইজ ব্যাক! বড়লেখা এক্সপ্রেস নিজের হারানো দিনের গতির সুফল পেতে শুরু করেছেন আরেকবার।

খুড়িয়ে খুড়িয়ে সাজঘরে ফিরছিলেন মিরাজ। শেষটায় আর হল না। মাঠেই বসে পড়লেন। ব্যাথার ছাপ চোখে মুখে স্পষ্ট। শেষ অবধি স্ট্রেচারে করেই মাঠ ছাড়তে হল।

যথারীতি পাওয়ার প্লে-তে ঝড় তুলেছিলেন মিরাজ। ওপেনিংয়ে নেমে ১৮ বলে ২৯ রান করেন। দলের চাহিদা মিটিয়ে তবেই ফিরেন, তবে ফেরাটা হল স্ট্রেচারে করে। নিশ্চয়ই এভাবে ফিরতে চাননি।

খালি চোখে মনে হচ্ছে, এই যাত্রায় অন্তত মিরাজের বিপিএলের বাকি ম্যাচগুলোতে খেলার সম্ভাবনা নেই। এমনকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তিনি না থাকলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ফলে, বাংলাদেশকে নতুন করে একজন অলরাউন্ডার খুঁজতে হবে।

মিরাজকে এভাবে হারানোর দিনে এবাদতের প্রাপ্তিটাই বড় করে দেখতে চাইবে বাংলাদেশ দল। সেই ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে থেকে তিনি দলের বাইরে। এর মধ্যে দু’টি আইসিসি ইভেন্ট খেলে বাংলাদেশ, কোনোটাতেই ছিলেন না এবাদত। দুয়ারে আরেকটা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেখানেও থাকবেন না।

পুনর্বাসন শেষ করে চলতি বছর এনসিএলে খেলেছেন। লঙ্গার ভার্সনের পর এনসিএল টি-টোয়েন্টিতেও ছিলেন। কিন্তু, পুরোপুরি ছন্দে বোলিং করতে পারেননি একদম। সেই ছন্দটা এবার ফিরে পেলেন বিপিএলে এসে। কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত হওয়ার পর গিয়ে একাদশে তাঁকে সুযোগ দিল ফরচুন বরিশাল।

আর সুযোগ পেয়েই এবাদত বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর বোলিংয়ের সামনে খেলতে হলে আজও ব্যাটারদের ভয় পেতে হয়। আজও তাঁর সামনে পড়লে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়ার ঝুঁকি থাকে!

Share via
Copy link