মেহেরব ‘মহাতারকা’ নন, তবে কার্য্যকর

মেহেরব হাসান, তিনি বড় কোনো নাম নয়। তবে, হুট করে মিতব্যয়ী বোলিংয়ে এক গাদা উইকেট পেয়ে ফেলা একজনকে নিয়ে আলোচনা না করলে সেটা খারাপ দেখায়। আসলে মেহেরব হোসেন সেই আলোচনা করতে বাধ্য করেছেন।

মেহেরব হাসান, তিনি বড় কোনো নাম নয়। তবে, হুট করে মিতব্যয়ী বোলিংয়ে এক গাদা উইকেট পেয়ে ফেলা একজনকে নিয়ে আলোচনা না করলে সেটা খারাপ দেখায়। আসলে মেহেরব হোসেন সেই আলোচনা করতে বাধ্য করেছেন।

ঘূর্ণির মায়াজাল বিছিয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মিডল অর্ডার ভাঙলেন মেহেরব হাসান। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচটা যেখানে শেষ করেছিল দূর্বার রাজশাহী, সিলেটের বিপক্ষে শুরু করল সেখান থেকেই। আর সেই ম্যাচেই স্পিন দিয়ে বোলিংয়ের নেতৃত্ব দিলেন ডান হাতি অফস্পিনার মেহেরব হাসান।

তিনি বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের প্রোডাকশন। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলেছেন। আরিফুল ইসলাম, রিপন মণ্ডলদের সাথে খেলেছেন। খেলেছেন সর্বশেষ আজিজুল হক তামিমদের সাথেও। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটা সিরিজে অধিনায়কত্বও করেছেন।

কিন্তু, কোনো দলেই তিনি সেরাদের কেউ ছিলেন না। বরং, দূর্বার রাজশাহী দলে কি করে তিনি জায়গা পেলেন – সেই প্রশ্ন তোলার মানুষেরও অভাব ছিল না। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বড় কোনো ছাপ রাখতে না পারলেও মন্দ ছিলেন না মেহেরব। বিশেষ করে শেষ দুই ম্যাচে শক্তিশালী রংপুর রাইডার্সের সাথে রাজশাহীর দলে বড় অবদান ছিল তাঁর।

তবে, এবার আর কোনো সংশয় রাখলেন না। দূর্বল সিলেট দলকে পেয়ে তিনি জ্বলে উঠলেন। তাঁর জ্বলন্ত আগুনের তোপে পুড়ে গেল সিলেটের চা বাগান। চার ওভার বোলিং করেছেন। মোটে ১৫ রান দিয়ে নিয়েছেন চারটি উইকেট। বিশেষ করে জাকের হাসান ও জাকের আলী – সিলেটের কার্য্যকর এই দুই ব্যাটারকে আটকে দেন তিন।

তানজিম হাসান সাকিবের বিপক্ষে বল করে যেভাবে ঝাঁপ দিয়ে ক্যাচটা ধরলেন, তাতেই বোঝা যায় – খেলাটার প্রতি কতটা ভালবাসা তাঁর। এই ভালবাসাটা টিকে থাকুক, সেই ভালবাসায় জাতীয় দল আসুক আর নাই আসুক।

Share via
Copy link