বলের রং দেখার সময় নেই ট্রাভিস হেডের!

যে তলোয়ারের ধারে জীবন গড়েছেন সেই তলোয়ারের আঘাতেই ইতি ঘটল ট্রাভিস হেডের। পেছনে টিকে থাকল এক নিখাঁদ বিনোদনের ইতিহাস।

ক্রিকেট বলের জন্ম হয়েছে পেটানোর জন্য। তা সেই বলের রং যাই হোক না কেন! এই মতবাদের ধারক ট্রাভিস হেড। নিজের ব্যাট দিয়ে এই মতবাদকে বহন করে চলেন অজিদের এই মারকাটারি ব্যাটার। এবার জায়গা পাল্টেও পেলেন সাফল্য।

টেস্ট, টি-টোয়েন্টি কিংবা ওয়ানডে – সব ফরম্যাটেই প্রায় একই গতিতে রান তুলতে জানেন হেড। আর সেটা করেই বনে যান প্রতিপক্ষের মাথাব্যাথার কারণ। এবার যেমন তিনি মাথাব্যাথা বাড়িয়ে দিলে গেলেন স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার।

গল টেস্টের শুরুতেই একটা কুইকফায়ার দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। সেজন্যই পাঁচ নম্বর থেকে তুলে ট্রাভিস হেডকে আনা হয় ওপেনিংয়ে। আর ইনিংসের সূচনায় ব্যাট হাতে নামলে তিনি কি করতে পারেন, সেটা কে না জানে।

করলেনও তাই। ৪০ টা মাত্র বল টিকলেন ক্রিজে। সেখানে রান বের হয়ে আসল ৫৭ টা। ১৪২.৫০ স্ট্রাইক রেট। মানে রীতিমত টি-টোয়েন্টি ইনিংস।  ১০ চার আর এক ছক্কায় সাজানো ইনিংসে তিনি বারবার লঙ্কান বোলারদের দিশেহারা হয়ে যেতে বাধ্য করেছেন।

হাফ সেঞ্চুরি করার পর একটু শান্ত হতে পারতেন হেড। কিন্তু, হন নি। শান্ত থাকাটা আসলে ট্রাভিস হেডের সাথে যায় না। আসলে তিনি ব্যাটিংয়ে নামেনই তো অশান্ত হতে।

এই অশান্ত, এই দুর্বিনীত ভাবটা তাই থাকল আউট হওয়ার ধরণেও।  প্রভাত জয়াসুরিয়ার বলে স্টেপ ডাউন করতে টাইমিংয়ের গণ্ডগোল হল। দীনেশ চান্দিমালের হাতে লংঅনে ধরা দিলেন।

যে তলোয়ারের ধারে জীবন গড়েছেন সেই তলোয়ারের আঘাতেই ইতি ঘটল ট্রাভিস হেডের। পেছনে টিকে থাকল এক নিখাঁদ বিনোদনের ইতিহাস।

Share via
Copy link