আইসিসি ইভেন্ট মানেই ভারতের ‘বিরাট’ দায়িত্ব। শিরোপা থেকে এক ইঞ্চি দূরে মানেই ব্যর্থ ভারত। আর দুয়ারে যখন ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মিশন, তখন আলোচনার কেন্দ্রে একজন, বিরাট কোহলি। ব্যাটিং লাইন আপ তারকায় ঠাসা হলেও, বড় ম্যাচে একজন নির্ভরযোগ্য পারফর্মারের প্রয়োজন, যিনি চাপ সামলে সামনে থেকে ব্যাটিংয়ে নেতৃত্ব দিতে পারেন।
সেই ভূমিকাতেই কি এবার ফিরছেন কোহলি? কোহলি নি:সন্দেহে বড় পারফর্মার, বড় মঞ্চের পারফর্মার। কিন্তু, সাম্প্রতিক ফর্ম বলে তিনি এখন ভারতের ব্যাটিং অর্ডারের বিরাট সংকট। যেখানেই খেলছেন ব্যর্থ হচ্ছেন, হোক সেটা টেস্ট কিংবা রঞ্জি ট্রফি।
ভারত শেষবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ২০১৩ সালে। তারপর থেকে আইসিসির শিরোপা ভারতের কাছে অধরা। ২০২৩ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করেও ফাইনালে হোঁচট খেয়েছিল দল। এবার কি ইতিহাস বদলাতে পারবেন কোহলি?
সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর ব্যাট কথা বলেছে ওঠানামার মধ্যে দিয়ে, তবে বড় মঞ্চে তিনি বরাবরই অন্য এক খেলোয়াড়। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় ইনিংস হোক বা ২০২৩ বিশ্বকাপে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স—প্রতিবারই তিনি দেখিয়েছেন, কেন তাঁকে বড় ম্যাচের খেলোয়াড় বলা হয়। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের সাফল্যের চাবিকাঠিও হয়তো তাঁর হাতেই।
কোচ গৌতম গম্ভীরও মনে করছেন, কোহলির অভিজ্ঞতাই ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি। তিনি বলেন, ‘বিরাট কোহলি এখনও ক্ষুধার্ত, এখনও জিততে চায়। দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব ওর কাঁধে। এই টুর্নামেন্টে ওর ব্যাটিং ভারতের পারফরম্যান্স নির্ধারণ করে দিতে পারে।’
ভারতের প্রথম ম্যাচ ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিপক্ষে। তবে সবার নজর ২৩ ফেব্রুয়ারির ভারত-পাকিস্তান মহারণে। বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত লড়াইয়ে আবারও কি দেখা যাবে কোহলির জাদু? আরব আমিরাতের মাঠে আবারও কি তিনি হয়ে উঠবেন ভারতের ত্রাণকর্তা?
সময়ই দেবে সেই প্রশ্নের উত্তর। তবে একথা নিশ্চিত—চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের মিসিং লিংক যদি সত্যিই কেউ হন, তবে সেই নাম বিরাট কোহলি। তিনিই সংকট, আবার সেই সংকট নিরসনের উপায়ও তাঁর চেয়ে ভাল কারও জানা নেই।