দূর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা এখন হোটেলবন্দী। পাওনা পরিশোধের আশায় বসে আছেন কোয়ালিফায়ার থেকে বাদ পড়া দলটির এক ঝাঁক ক্রিকেটার —কিন্তু টাকা নেই, নেই ফেরার নিশ্চয়তাও। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য প্রচণ্ড লজ্জাজনক একটা দিন। বিপিএলে ইতিহাসের কলঙ্কজনক এই অধ্যায় রচনার সময়ে আবার একেবারেই নীরব বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল।
মালিকপক্ষ ভ্যালেন্টাইন্স গ্রুপ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, রোববারই পরিশোধ হবে পারিশ্রমিক। সেই আশাতেই ৫-৭ জন দেশি ক্রিকেটার, টিমবয় ও লজিস্টিকস ম্যানেজার হোটেলে অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু সময় গড়িয়ে গেলেও প্রতিশ্রুতি এখনও কেবল কথার ফুলঝুরি হয়েই রয়ে গেছে।
বিদেশি ক্রিকেটারদের অবস্থাও করুণ। তাদের ফেরার বিমান টিকিট পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়নি। অথচ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ শেষ, দেশে ফেরার সময় এখন। তাঁদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
সিনিয়র ক্রিকেটাররা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু ফলাফল শূন্য। ফোন বাজে, কিন্তু ওপাশ থেকে কোনো উত্তর নেই। ফোন বন্ধ। হতাশা আর অনিশ্চয়তার ছায়া নেমে এসেছে ক্রিকেটারদের মধ্যে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ভূমিকা নেই বললেই চলে। রোববার ছিল পারিশ্রমিক পরিশোধের শেষ সময়, অথচ তা পার হয়ে গেছে নি:শব্দেই। বিসিবি আগেই বলেছিল, ক্রিকেটাররা টাকা না পেলে তারা অ্যাকশনে যাবে। এখন দেখার বিষয়, কথার বাইরে তারা আদৌ কিছু করে কি না। আগের রাতে আশ্বাস দিয়ে গেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা জানালেন, পুরোদিন ও সারা রাত তাঁরা অপেক্ষা করবেন। যদি টাকা না আসে, তাহলে সোমবার হোটেল ছেড়ে যার যার বাড়ির পথে রওনা দেবেন। কিন্তু বিদেশি ক্রিকেটাররা? তারা কীভাবে ফিরবেন, কে দেবে তাদের বিমানের ভাড়া—এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই।
হোটেলের বিল কি পরিশোধ করা হয়েছে? সেটা নিয়েও আছে সংশয়। দৈনন্দিন ভাতার মত এটাও না আবার ক্রিকেটারদের নিজেদের পকেট থেকে দেওয়া লাগে! কেবল এখন রাস্তায় নেমে আন্দোলন করাই বাকি দলটির ক্রিকেটারদের!