প্রতিপক্ষের চার-পাঁচজন ফুটবলার ঘিরে ধরেছেন, লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারে এমন দৃশ্য বহুবার সৃষ্টি হয়েছে। লামিন ইয়ামালও একই পথে হাঁটছেন, হুবহু নিজের উত্তরসূরী মত নাচিয়ে ছাড়ছেন প্রতিপক্ষকে। এইতো আলাভেসের বিপক্ষে ম্যাচেও চার-পাঁচজন মিলে আটকে রাখা যায়নি তাঁকে।
ইয়ামাল আসলে একজন উঠতি জাদুকর, বল পায়ে গেলেই তিনি সৃষ্টি করেন মায়ার জাল। দর্শকরা অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে, তাকিয়ে থাকে মাঠের ফুটবলাররাও। মেসির বিপক্ষে যেমন করার কিছু থাকতো না, তিনিও ডিফেন্ডারদের কোন সুযোগ দিতে রাজি নন।
চিরকালের চেনা ক্যাম্প ন্যুতে আলাভেসের মুখোমুখি হয়েছিলেন এই তরুণ, শুরু থেকেই ঝলক দেখাতে ভুল হয়নি তাঁর। গতি, ড্রিবলিং আর দুর্দান্ত গেমসেন্সের সুবাদে সফরকারীদের রক্ষণভাগকে রীতিমতো ছিড়েখুঁড়ে ফেলেছেন তিনি। যতবারই তাঁকে বল পৌঁছে দেয়া গিয়েছে ততবারই গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন তিনি।
সবমিলিয়ে পুরো ম্যাচে দশটা সফল ড্রিবলিং সম্পন্ন করেছেন এই তারকা; সেই সাথে ডুয়েল জিতেছেন ১৪টা! আর তাঁর মাধ্যমে নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছে তিনবার – তিন সেগমেন্টেই তিনি যে সেরা পারফরমার সেটা বোধহয় বলার অপেক্ষা রাখে না।
১-০ গোলে জয় পাওয়ার দিনে গোলটা অবশ্য করেছেন রবার্ট লেওয়ানডস্কি, লা লিগার শীর্ষ গোলদাতা হিসেবে নিজের অবস্থান আরেকটু সুসংহত করলেন তিনি। এই গোলেও অবশ্য ছোঁয়া আছে ইয়ামালের, তাঁর ক্রস থেকেই তো বল জালে জড়িয়েছেন পোলিশ স্ট্রাইকার।
ভ্যালেন্সিয়াকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দেয়ার পর আরো একটা জয়; স্কোরবোর্ড বার্সা সুলভ না হলেও মাঝের দুঃসময় কাটিয়ে উঠাটা বড় ব্যাপার তাঁদের জন্য। গত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এস্প্যানিওলকে হারানোর পর টানা পয়েন্ট খুইয়েছিল দলটা, অবশেষে ব্যাক টু ব্যাক দুই ম্যাচে পূর্ণ তিন পয়েন্টের স্বাদ পেলো।
রিয়াল মাদ্রিদ হোঁচট খেয়েছে, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ তো হাত ছোঁয়া দূরত্বেই আছে। টেবিলের তিন নম্বরে থাকা বার্সেলোনার জন্য শিরোপার স্বপ্ন তাই একেবারে ফিকে হয়ে যায়নি; ইয়ামাল-লেওয়ানডস্কিদের ওপর ভর করে কিউলদের স্বপ্ন আবার ডানা মেলতে শুরু করেছে আকাশে।