সামনে শাহীন আফ্রিদি। পর পর দুই বলে ছক্কা। এরপর একটা চার। ব্যাটার কে? এই কাজ হেনরিখ ক্লাসেন ছাড়া অন্য কারো করার সাধ্য কোথায়! পাকিস্তানের সেরা অস্ত্রটাকেই যেন ভোঁতা বানিয়ে দিলেন। প্রতিপক্ষে দূর্বলতার সুযোগ নয়, সবচেয়ে শক্ত জায়গাটাতেই আক্রমণ করতে জানেন ক্লাসেন।
যেন দাবানল! যেন ধ্বংসযজ্ঞ! পাকিস্তানের বোলিং লাইনআপ চিরে আগুন ঝরিয়ে চললেন হেনরিখ ক্লাসেন। ব্যাট হাতে যেন শিকারি, একের পর এক বোলারকে শিকার বানাচ্ছেন অবলীলায়। গতি? স্পিন? সুইং? কিছুই তোয়াক্কা নেই, ক্লাসেন জানেন শুধু আক্রমণ, জানেন শুধু স্ট্রাইক রেট বাড়িয়ে প্রতিপক্ষকে মাটিতে নামিয়ে আনতে।
পাকিস্তানের বোলাররা পরিকল্পনা করেছিল, শর্ট বল? অফ স্টাম্পের বাইরে টেস্ট ম্যাচ লেংথ? কিংবা ধীরগতির ডেলিভারি? কিছুতেই কিছু হচ্ছে না! তাদের প্রতিটি অস্ত্র ক্লাসেন যেন উড়িয়ে দিচ্ছেন তাণ্ডবলীলা চালিয়ে। পেসাররা দৌড়ে আসছেন, রান আপ বাড়াচ্ছেন, নতুন কৌশল খুঁজছেন— কিন্তু ক্লাসেনের ব্যাটে যেন ঝড়ের আগুন!
৫৫ বলে করেন ৮৭ রান। এ যেন এক অদম্য খুনে ইনিংস! তিনটি ছক্কা আর ১১ টি চারের সৌজন্যে খেলা ইনিংসে প্রোটিয়া এই ব্যাটিং দানবের দেখার সুযোগ ছিল না যে সামনে কে বোলিং করছেন। করাচির বাতাসে যেন শুধু ব্যাটের ঝড়, চার-ছক্কার গর্জন! শাহীন, হাসনাইন, নাসিম — সবাইকে একে একে উড়িয়ে দিলেন। পাকিস্তানের মাঠে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাস চুরমার করে দিলেন একাই! দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছে যায় ৩৫২ রানের পাহাড়ে।
পাকিস্তানের বোলিং লাইনআপ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তার ব্যাটিং দানবীয়তায়। বাবর আজম-রিজওয়ানরা হতবাক, যেন কোনো উত্তর নেই তাদের কাছে। করাচিতে ক্লাসেন শুধু রান করলেন না, পাকিস্তানকে গুড়িয়ে দিলেন। ক্লাসেনের এক্স ফ্যাক্টরই এটা। প্রতিপক্ষের মনোবল ভেঙে দিতে তাঁর কোনো জুড়ি নেই।