নাম ইংলিস, কাজ তাঁর ইংলিশ বধ

দ্যাটস হাউ উই স্কোর ইউর মেইডেন ওয়ানডে সেঞ্চুরি। জোফরা আর্চারের বলকে শক্তিশালী পুল শটে বাউন্ডারির ওপারে নিয়ে ফেললেন জশ ইংলিস।

দ্যাটস হাউ উই স্কোর ইউর মেইডেন ওয়ানডে সেঞ্চুরি। জোফরা আর্চারের বলকে শক্তিশালী পুল শটে বাউন্ডারির ওপারে নিয়ে ফেললেন জশ ইংলিস। আর তাতেই তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে যায় ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। দু’বাহু উঁচু করেই ইংলিস করলেন উদযাপন। যেন বোঝাতে চাইলেন- ‘দেখো আমার পেশি শক্তি’।

মাত্র ৭৭ বলেই সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করে ফেলেন জশ ইংলিশ। নিঃসন্দেহে ক্যারিয়ারের বর্ণিল এক স্মৃতি হয়ে রইলো প্রথম শতক। কিন্তু তার এই ইনিংসের রঙের উজ্জ্বলতা বাড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়ার জয়। ৩৫২ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা টপকে গিয়ে শেষ অবধি জয় পেয়েছে অজিরা।

এর সিংহভাগ কৃতীত্ব দাবি করতেই পারেন ইংলিস। নামে ইংলিস, কিন্তু কাজ তার ইংলিশ বধের কাব্য রচনা। কি অসাধারণ একটা ইনিংস উপহার দিলেন তিনি! তার এই ইনিংস ও অস্ট্রেলিয়ার এই জয় একটাই স্টেটমেন্ট দেয়- অস্ট্রেলিয়া কখনো খর্বশক্তির হয় না।

দলে তারকা পেসারদের কেউ নেই। বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে। এমন পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ইংল্যান্ডের খেলা প্রথম ইনিংসের পর অবশ্য সেটাই সত্য মনে হয়েছিল। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ইনিংসের শুরুর দিকেও পরিস্থিতি তেমনই ছিল। ২৭ রানে নেই অজিদের দুই উইকেট।

কিন্তু ইংলিসের দৃঢ়তায় সবকিছু পালটে যায়। সকল সমীকরণের সমাপ্তি ঘটান তিনি একা হাতেই। নিজের সক্ষমতার দূর্দান্ত চিত্র এঁকেছেন তিনি লাহোরের বুকে। ধিকিধিকি করে জ্বলতে থাকা অজিদের জয়ের প্রদীপের আলোকে তিনিই করেছেন প্রবল। শুরুতে খানিক রয়েসয়ে, পরিস্থিতির চাহিদা মেনে ব্যাটিং করেছেন জশ ইংলিস।

কিন্তু যেই মুহূর্তে মনে হয়েছে, ম্যাচ চলে এসেছে হাতের মুঠোয়, সেই মুহূর্ত থেকে আগ্রাসনের ছড়ি ঘুরিয়েছেন বাইশ গজে। শেষ অবধি ৮৬ বলে ১২০ রানে অপরাজিত থেকেছেন ইংলিস। ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। আর বুঝিয়ে দিলেন নেভার কাউন্ট দেম আউট, হোয়াটঅ্যাবাউট দ্য সিচুয়েশন ইজ!

Share via
Copy link