চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তান আর নেই। কিন্তু, ক্ষুদে সেই বিড়ালটা আছে। রাজকীয় ঢঙে তিনি এখনও ঘুরে বেড়ান করাচির মাঠে। সে তো পাকিস্তান ক্রিকেট দল নয় যে আজ আছেন, কাল নেই। তাঁর ফর্ম নিয়ে তো আর কোনো প্রশ্ন নেই, সংশয় নেই। সংশয় সব বাবর আজমদের ঘিরে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকা আর ইংল্যান্ডের ম্যাচেও দেখা গেল তাকে। কয়েক সেকেন্ড দৌড়ে গেল, ক্যামেরার দিকে একবার তাকাল, তারপর হাওয়া! পাকিস্তান দলের মতো ও আর লেজ গুটিয়ে বসে থাকেনি। অন্তত মাঠে দৌড়েছে, কিছু অ্যাটেম্পট তো নিয়েছে! কিন্তু পাকিস্তান?
ভারতের কাছে বিধ্বস্ত, নিউজিল্যান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ— চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আয়োজক দলের এই দশা আইসিসি ইভেন্টেই তো বিরল। করাচির বিড়ালের ফর্মও পাকিস্তানের চেয়ে ভালো!
পাকিস্তান জিতেনি তো বটেই, লড়াইও করতে পারেনি। মাঠে দাড়াতেই পারেননি, প্রতিপক্ষকে বিরক্ত করতে পারেনি, দর্শকদের বিনোদন দিতে পারেনি। কিন্তু, এই বিড়াল তো অন্তত তিন ম্যাচে দেখা দিয়ে গেছে, মাঠে কয়েকবার চক্করও দিয়েছে। পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা কি সেটাও করতে পেরেছেন?
একটা সময় পাকিস্তান ক্রিকেট মানেই ছিল আনপ্রেডিক্টেবল নাটকীয়তা। কিন্তু এখন? নাটক আছে, রোমাঞ্চ নেই। আলোচনা আছে, পারফরম্যান্স নেই। নিজেদের মাঠে একটা ম্যাচও জিততে পারল না, অথচ প্রতিপক্ষের পায়ের নিচে মাঠ কাঁপিয়ে দেওয়ার কথা ছিল তাদের!
পাকিস্তানের পারফরম্যান্স এতটাই করুণ যে করাচির সেই বিড়ালও লজ্জায় মুখ ঢাকছে। হয়তো ভাবছে, ‘এদের চেয়ে তো আমার ফর্মই ভালো!’