একটা কমিটমেন্ট, একটা স্টেটমেন্ট। বরুন চক্রবর্তী দুবাইয়ে দেখালেন, ঠিক কি কারণে তিনি একাদশে। ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে প্রথম পছন্দের স্পিনার তিনি নন। চতুর্থ স্পিনারের প্রয়োজন অনুভব করলেই কেবল তার ডাক আসবে। তিনি সেটা জানতেন। তেমন এক ডাকের জন্যেই ছিলেন অপেক্ষমান। আর এরপরই দেখালেন ঘূর্ণিজাদু।
টসের সময়ই বিষয়টি ছিল পরিষ্কার। দুবাইয়ের উইকেট হতে চলেছে স্পিনারদের জন্যে আদর্শ। সেটা ভারতের ব্যাটিংয়ের সময়ই হয়েছে প্রমাণিত। বল ঠিক-ঠাক ব্যাটে আসছিল না। উইকেটে বল থেমে যাচ্ছিল, অসম বাউন্সও ছিল। সেসবকে কাজে লাগিয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমবার খেলতে নেমেই তুলে নিয়েছেন পাঁচখানা উইকেট। নিউজিল্যান্ডের জয়ের স্বপ্নকে করেছেন ধূলিসাৎ। ব্ল্যাক্যাপসদের রানের নদী শুকিয়ে দিয়েছেন, ঘূর্ণির ঝাপটায় নাকাল করেছেন গ্লেন ফিলিপসদের।
উইল ইয়ংকে দিয়ে শুরু করেন নিজের উইকেট শিকারের যাত্রা। এরপর নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডারকে ধসিয়ে দিয়েছেন। তার স্পিন আর গতিতে পরাস্ত হয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল, ফিলিপস, ইয়ংরা। এছাড়াও নিউজিল্যান্ডের লেজের ব্যাটারদেরকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে ভারতের জয়কে ত্বরাণ্বিত করেছেন।
বরুণ জানেন না আগামী ম্যাচে তিনি একাদশে থাকবেন কি-না। পরিস্থিতি বিবেচনায় তাকে আবার হয়ত বসে যেতে হবে সাইডবেঞ্চে। এর আগে অন্তত এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজের একটা ছাপ ফেলে রাখলেন।
দশ ওভারের স্পেলে মাত্র ৪২ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। পারফরম করবার তীব্র ক্ষুধাই বরুণদের মহাকাশের ধ্রুবতারা বানায়।