নিম্ন থেকে সর্বনিম্নে পাকিস্তান

২০১২ সালে দুবাইতে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান; ইমরান নাজির, শোয়েব মালিক আর কামরান আকমাল ফিরে যান প্রথম চার ওভারের মধ্যে। নাসির জামশেদ এবং আবদুল রাজ্জাক প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও কামিন্স-স্টার্ক জুটির সামনে দাঁড়াতে পারেনি। শেষমেশ ৭৪ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান, তাঁদের ইতিহাসে এটিই সর্বনিন্ম রানের রেকর্ড। 

ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার মন্ত্র নিয়ে মাঠে নামলেও নতুন পাকিস্তানের শুরুটা ভাল হয়নি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৯১ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছে তাঁরা, ১৮.৪ ওভার ব্যাটিং করেও দলীয় সংগ্রহ তিন অঙ্কের ঘরে নিয়ে যেতে পারেনি দলটা। অবশ্য এমনটা হওয়ারই কথা, এদিন প্রথম চার ব্যাটারই তো ফিরে গিয়েছিলেন ১১ রানের মাথায়।

অধিনায়ক সালমান আঘা ১৮ রান আর খুশদিল শাহ ৩২ রান না করলে লজ্জার তীব্রতা আরো বাড়তো। পরবর্তীতে ১০.১ ওভারেই লক্ষ্য তাড়া করে জয় তুলে নেয় কিউইরা।

কিন্তু পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এটি সর্বনিন্ম রানের রেকর্ড নয় – এর চেয়ে কম রানে চারবার অলআউট হয়েছে তাঁরা।

  • ৭৪ রান বনাম অস্ট্রেলিয়া 

২০১২ সালে দুবাইতে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান; ইমরান নাজির, শোয়েব মালিক আর কামরান আকমাল ফিরে যান প্রথম চার ওভারের মধ্যে। নাসির জামশেদ এবং আবদুল রাজ্জাক প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও কামিন্স-স্টার্ক জুটির সামনে দাঁড়াতে পারেনি। শেষমেশ ৭৪ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান, তাঁদের ইতিহাসে এটিই সর্বনিন্ম রানের রেকর্ড।

  • ৮২ রান বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ 

পরের ঘটনাটা মিরপুরে, ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা। ১৬৭ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান পড়ে সুনীল নারাইন এবং স্যামুয়েল বদ্রির ঘূর্ণি জাদুর মুখে। দু’জনে তিনটা করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছিলেন; আন্দ্রে রাসেলও পেয়েছিলেন দুই উইকেট। সবমিলিয়ে ৪৫ রান করতেই শেষ ছয় উইকেট হারায় শহীদ আফ্রিদিরা। তাতেই বৈশ্বিক আসরে লজ্জার স্বাদ পায় দলটি।

  • ৮৩ রান বনাম ভারত

আরো একবার মিরপুর দুঃস্বপ্ন হয়ে হাজির হয়েছিল পাকিস্তানের জন্য, এবারের মঞ্চ ২০১৬ এশিয়া কাপ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে পাক ব্যাটাররা ব্যস্ত হয়ে পড়েন আসা যাওয়ার মিছিলে। হার্দিক পান্ডিয়া সেদিন মাত্র আট রানে তিন উইকেট নিয়েছিলেন; যদিও ৮৩ রানের পুঁজি নিয়ে জিততে না পারলেও মোহাম্মদ আমির ম্যাচে রোমাঞ্চ ফিরিয়ে এনেছিলেন। তাঁর শুরুর স্পেল এখনো ফিরে দেখার মতন।

  • ৮৯ রান বনাম ইংল্যান্ড

এশিয়ার বাইরে খাবি খাওয়ার অভিজ্ঞতা অনেক আগেই হয়েছে পাকিস্তানের। ২০১০ সালে কার্ডিফে ইংল্যান্ডের পেসার টিম ব্রেসনার আর স্টুয়ার্ট ব্রড ধসিয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার। কামরান আকমল এবং উমর আকমল ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পা রাখতে পারেননি। শেষপর্যন্ত ১৮.৪ ওভার স্থায়ী হয় পাকিস্তানের ইনিংস, সেই সাথে বোর্ডে জমা হয়েছিল ৮৯ রান।

Share via
Copy link