সব দায়িত্ব যেন স্রেফ অধিনায়কের। আঘা সালমান ছাড়া পাকিস্তানের বাকি ব্যাটাররা রীতিমত ছন্নছাড়া। দায়িত্বজ্ঞানহীন সব শটের পসরা সাজিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে পাকিস্তান। দিন বদলের গান যেন বড্ড বেশি বেসুরে।
বৃষ্টির কারণে মাঠ ভেজা ছিল। তাইতো নির্ধারিত সময়ের বেশ পরে মাঠে গড়ায় সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। কাঁটা হয় পাঁচখানা ওভার। আর তাতেই যেন অতিরিক্ত আগ্রাসী হওয়ার পায়তারা শুরু করেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা। তবে ছিল না কোন প্রকার নিয়ন্ত্রণ।
নিউজিল্যান্ডের বৃষ্টির ছোঁয়া পাওয়া উইকেটে পেসারদের সুইং ছিল অবধারিত। সেই সুইং বোঝার চেষ্টাই করেননি নবাগত হাসান নওয়াজ। গায়ের জোরে সীমানা ছাড়া করতে চেয়েছেন যেকোন ভাবে। আর তাতেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন হাসান। একই ধারা প্রায় বাকি সব ব্যাটারদের।
কিন্তু অন্যদের কাণ্ডজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ের মাঝেও আঘা সালমান নিজের দায়িত্ব পালন করে গেছেন যথাযথভাবে। অথচ টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তিনি ততটাও পরীক্ষিত নন। সব ধরণের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ মিলিয়ে তার স্ট্রাইকরেট সর্বসাকুল্যে ১১৫। গড় বিশের নিচে। এমন একজন নন-পারফরমারকে অধিনায়কত্ব দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বিস্ময়কর বিষয়!
দলের একেবারে যাচ্ছে তাই অবস্থা। টপ অর্ডার একেবারে নড়বড়ে। তাইতো তিনি নিজেই চলে এলেন তিন নম্বরে। এসে বেশ কার্যকর একটা ইনিংস খেলেন। মাত্র ২৮ বলে ৪৮ রান যুক্ত করেন নিজের নামের পাশে। প্রায় ১৬৪ স্ট্রাইকরেটের এই ইনিংসটি পাকিস্তানের জন্যে খানিক লাইফলাইন হয়ে হাজির হয়।
সালমানের তিন ছক্কা ও চার চারে সাজানো ইনিংসটির কল্যাণে মোটামুটি ভদ্রস্থ একটা সংগ্রহ গড়তে সক্ষম হয় পাকিস্তান দল। কিন্তু ডানেডিন বেশ ছোট্ট একটা মাঠ, এখানে রান হয় প্রচুর। মস্তিষ্কের ভেতর সেই দুশ্চিন্তা নিয়েই বোলিং করতে নামে পাকিস্তান। তবে দুর্দিনে নিজেকে একেবারে ভেঙে গড়ছেন আঘা সালমান, সেটাই বরং পাকিস্তানের জন্যে সবচেয়ে বড় স্বস্তি।