শান্ত মহিমায় নাজমুলের ফেরা!

ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেটে এসে শরিফুলের বিপক্ষে বেশ নড়বড়ে হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সেই শরীফুলের উপরেই চড়াও হন শান্ত। ডিপ ব্যাকওর্য়াড পয়েন্ট আর কাও কর্নার দিয়ে হাঁকিয়েছিলেন তিন চার। পরের ওভারে তানজিম সাকিবকেও হাঁকান দুইটা দৃষ্টিনন্দন চার।

অন ড্রাইভে একটা সিঙ্গেলে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারে পৌছালেন। সব আলোচনা আর সমালোচনাকে যেন ব্যাট উচিঁয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১০৭ বলে ১২ চার আর দুই ছক্কায় তুলে নিলেন লিস্ট এ ক্রিকেটের ১৩ তম সেঞ্চুরিটা।

চলতি ডিপিএলে মোটেও ছন্দে ছিলেন না জাতীয় দলের অধিনায়ক শান্ত। প্রথম পাঁচ ম্যাচের চার ইনিংসে মোটে ১৯.৫০ গড়ে রান করেছিলেন ৭৮। স্ট্রাইকরেটটাও যাচ্ছেতাই, মাত্র ৫৩.৭৯। নিজেকে যেন হারিয়ে খুঁজছিলেন শান্ত। তবে অবশেষে স্বস্তির হাসি হেসেছে তার ব্যাট।

২৯৩ রানের টার্গেটে শুরুতেই পারভেজ হোসেন ইমনকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে আবাহনী। তখন ত্রাতা হিসেবে হাজির হন শান্ত। রানের চাকা সচল রেখে দলকে বাঁচিয়েছেন রানের চাপ থেকে।

শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, শেখ মেহেদী কিংবা তানভীর ইসলামদের দেখে শুনে খেলেছেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেট তো বটেই আন্তজার্তিক পর্যায়েও বেশ কোয়ালিটিফুল প্রতিপক্ষ বোলিং লাইন আপের বিপক্ষে চাপের মুখে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।

ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেটে এসে শরিফুলের বিপক্ষে বেশ নড়বড়ে হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সেই শরীফুলের উপরেই চড়াও হন শান্ত। ডিপ ব্যাকওর্য়াড পয়েন্ট আর কাও কর্নার দিয়ে হাঁকিয়েছিলেন তিন চার। পরের ওভারে তানজিম সাকিবকেও হাঁকান দুইটা দৃষ্টিনন্দন চার।

পেসার বা স্পিনার কেওই এদিন বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে পারেনি শান্তের ঝড়ের সামনে। ছক্কা মেরেই ৫২ বলে লিস্ট এ ক্রিকেটে নিজের ২৮ তম ফিফটি। এরপরে আরও চড়াও হয়েছেন প্রতিপক্ষের উপর। যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন ত্রাসের সৃষ্টি করেছেন বোলারদের উপর।

ম্যাচের আগের দিনই সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, নিজের ফর্ম নিয়ে ভাবছেননা তিনি। দলের জয়ই গুরুত্বপূর্ণ, যেভাবেই তা আসুক। এদিন দলের জয় সুগমে বড় অবদান রেখে গেলেন তিনি। টানা ৫ জয় নিয়ে টেবিলের এক নম্বর জায়গাটা ধরে রাখতে এগিয়ে যাচ্ছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আবাহনী।

Share via
Copy link