মহেন্দ্র সিং ধোনির জুতোয় পা গলানো তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। বিশাল বড় এক গুরুদায়িত্ব মাথায় নিতে হচ্ছে রুতুরাজ গায়কড়কে। আর তাতেই যেন তালগোল পাকিয়ে ফেলছেন তিনি। প্রথমবার অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়েছিলেন ২০২৪ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল)।
পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন দলটি তার অধীনে প্লে-অফ খেলার টিকিট কাটতে ব্যর্থ হয়। প্রথমবার ভুলচুক হতেই পারে। তাইতো তার প্রতি আস্থা রেখেছে চেন্নাই সুপার কিংস ফ্রাঞ্চাইজি। দ্বিতীয় দফা চেন্নাইয়ের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয় তার হাতে। ২০২৫ আসরে এসে অবশ্য শুরুটা হয়েছে তার মিশ্র অভিজ্ঞতার।
প্রথম ম্যাচটা চিরপ্রতিদ্বন্দী মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে জিতেছে চেন্নাই। কিন্তু ঘরের মাঠ চিপকে দীর্ঘদিনের রেকর্ড ভেঙে গেছে। ১৭ বছর ধরে চেন্নাইয়ের দূর্গে কোন জয় পায়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। সেই রেকর্ড ভেঙ্গে হয়েছে চুরমার।
এমনকি আইপিএলের পদচারণার শুরু থেকে এত বড় ব্যবধানে ঘরের মাঠে পরাজিত হয়নি চেন্নাই। ব্যাঙ্গালুরু তাদেরকে হারিয়েছে ৫০ রানের বিশাল ব্যবধানে। তাইতো জনমনে উঠছে প্রশ্ন, রুতুরাজ কি আসলেই যোগ্য?
প্রথমত তার অভিজ্ঞতার ঘাটতি রয়েছে। আইপিএলের মত ভীষণ চাপের মঞ্চে একটা দলকে নেতৃত্ব দেওয়া ভীষণ কঠিন কাজ। সেই কঠিন কাজ সম্পাদন করতে গিয়েই তিনি বরং হোঁচট খাচ্ছেন। তাছাড়া চেন্নাইয়ের মত দলের অধিনায়কের কাছ থেকে প্রত্যাশা থাকে বেশি। সেটাও স্নায়ুচাপ বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ।
ঠিক সে কারণেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে বেগ পোহাতে হচ্ছে রুতুরাজ গায়কড়কে। বোলিং পরিবর্তনেও তালগোল পাকিয়ে ফেলছেন। দলের অভিজ্ঞ দুই স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজাকেও ঠিকঠাক ব্যবহার করতে পারছেন না। তাতেই বরং ফলাফল চেন্নাইয়ের বিপরীতে চলে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে।
তবে ওই যে শুরুতেই বলা ধোনির জুতোয় পা গলানো চাট্টিখানি কথা নয়। রুতুরাজের অভিজ্ঞতা স্বল্প কিন্তু তাকে পরিমাপের পাল্লায় অপর পাশে রাখা হচ্ছে ধোনিকে। ধোনির সমতুল্য হওয়া যে প্রায় অসম্ভব। ঠিক সে কারণেও চাপের মুখে ভুলচুক করে বসছেন রুতুরাজ গায়কড়। হয়ত সময় গড়ালে তিনিও হয়ে উঠবেন শিরোপা জয়ী অধিনায়ক। কিন্তু ধোনি তিনি কখনোই হতে পারবেন না। সেই তুলনা তাই না করাই শ্রেয়।