তবে কি শেষ ধোনির ম্যাজিক!

সেই সাথে ধোনির খেলা নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে। বয়সটা পার হয়েছে ৪৩, ধোনি খেলবেন আর কত? ব্যাটে রান নেই, ম্যাজিকাল ক্যাপ্টেন্সিও আর দেখা যাচ্ছে না। তাই তো প্রশ্ন—তবে কি ফুরিয়ে গেলেন ধোনি?

মাহেন্দ্র সিং ধোনির ৪০০তম ম্যাচ, তবুও চেন্নাই পেলো না জয়ের দেখা। ঘরের মাঠে আরও একটা পরাজয় অনিশ্চিত করে দিলো প্লে-অফে খেলা।

সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ এবং চেন্নাই সুপার কিংস—দুই দলই ম্যাচ শুরুর আগে ছিল নয় এবং দশ নম্বর অবস্থানে। ৮ ম্যাচে ২ জয়ে দুই দলের অবস্থা ছিল একেবারেই নাজুক।

এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে শুরুতে টসে জিতে ফিল্ডিং নেয় হায়দ্রাবাদ। প্রথম বলেই মোহাম্মদ শামির আঘাত। চেন্নাই সুপার কিংসের প্রথম ধাক্কাটা সামাল দিতে থাকেন আয়ুশ মাহাত্রে। তবে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও দারুণ শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। থামতে হয় ৩০ রানেই।

এদিন পারেননি রবীন্দ্র জাদেজাও। তবে হাল ধরেছিলেন ডিওয়াল্ড ব্রেভিস। ২৫ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে যখন আউট হন, দল তখন ভীষণ বিপদে। চোখটা ছিল ৪০০তম ম্যাচ খেলতে নামা ধোনির উপরে। তবে ঘরের মাঠে তিনিও ব্যর্থ হয়েছেন, করেছেন মাত্র ছয় রান।
বল হাতে হারশাল প্যাটেল একাই শিকার করেছেন চেন্নাইয়ের চার উইকেট। চেন্নাই সুপার কিংসের ইনিংস শেষ পর্যন্ত থামে ১৫৪-তে।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শূন্যতেই ফেরেন অভিষেক শর্মা। ট্রাভিস হেডও আটকে পড়েছেন অফ-ফর্মের বলয়ে, ১৯ রানেই থেমে যায় তার ইনিংস। তবে ইশান কিশানের ৪৪ রানের ইনিংস সম্ভাবনা জাগিয়ে রেখেছিল। শেষদিকে কামিন্দু মেন্ডিস এবং নিতিশ কুমার রেড্ডি মিলে শেষ করেন বাকি কাজটা। হায়দ্রাবাদ জয় তুলে নেয় পাঁচ উইকেটের ব্যবধানে।

এবারের আসরে চেন্নাই অনেকটা ছন্নছাড়া। নিয়মিত অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড় নেই, মিডল অর্ডারে কেউ দাঁড়াতে পারছে না, বোলিংটাও হচ্ছে না ঠিকঠাক। সব মিলিয়ে ধোনির চেন্নাই নেই চিরচেনা রূপে।সেই সাথে ধোনির খেলা নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে। বয়সটা পার হয়েছে ৪৩, ধোনি খেলবেন আর কত? ব্যাটে রান নেই, ম্যাজিকাল ক্যাপ্টেন্সিও আর দেখা যাচ্ছে না। তাই তো প্রশ্ন—তবে কি ফুরিয়ে গেলেন ধোনি?

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link