ফিরছে আইপিএল, বিদেশিদের ছাড়াই!

যুদ্ধের ভয়াল থাবা শেষে মাঠে ফিরতে মরিয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৭ অথবা ১৮ মে থেকেই আবার মাঠে গড়াতে পারে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো। তবে বিদেশি প্লেয়ারদের উপস্থিতি কতটা দেখা যাবে বাকি অংশে— তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্নবোধক চিহ্ন।

বিদ্বেষের ভয়াল থাবা শেষে মাঠে ফিরতে মরিয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৭ অথবা ১৮ মে থেকেই আবার মাঠে গড়াতে পারে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো। তবে বিদেশি খেলোয়াড়দের উপস্থিতি কতটা দেখা যাবে বাকি অংশে— তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।

পাক-ভারত সংহাতের প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল ক্রিকেটের মঞ্চে। তাতেই বন্ধ হয়ে যায় আইপিএল, তড়িঘড়ি করেই দেশ ছাড়েন বিদেশি খেলোয়াড়রা। লড়াই থেমেছে, আইপিএলও মাঠে গড়ানোর পরিকল্পনা চলছে। তবুও বিদেশিরা ফিরতে নারাজ।

তবে ভিনদেশি খেলোয়াড়রা না ফিরলেও, আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো তাঁদের বিদেশি খেলোয়াড় ও স্টাফদের ফিরিয়ে আনতে কোনো রকম চাপ প্রয়োগ করবে না। রেভ স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক ফ্র্যাঞ্চাইজির সিইও বলেন, ‘এটি একটি বৈরি পরিস্থিতি। আমরা কাউকে জোর করব না। সিদ্ধান্তটা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়।”

বিদেশিরা না খেললে স্বাভাবিকভাবেই আইপিএলের জৌলুস কিছুটা হলেও হারাবে। তবে নিরাপত্তা ঝুঁকি কিংবা জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচি অনেকের ফেরার পথটা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার কেউ আর ফিরতে চায় না আইপিএলে।

অন্যদিকে বিসিসিআইও বসে নেই। নতুন করে সূচি তৈরি করছে তারা। সবকিছু ঠিক থাকলে মে মাসের মধ্যেই শেষ করা হতে পারে বাকি থাকা ১২টি গ্রুপ পর্বের ম্যাচ ও চারটি প্লে-অফ। সে জন্য প্রতিদিন ডাবল হেডার আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

তবে আইপিএলের ফাইনাল ম্যাচ কলকাতা থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কলকাতার পরিবর্তে আহমেদাবাদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে আইপিএল ২০২৫-এর ফাইনাল। এখন অপেক্ষাটা শুধু ছাড়পত্রের, সরকার থেকে সবুজ সংকেত পেলেই আইপিএলের উন্মাদনা আবার শুরু হবে।

তবুও এমন পরিস্থিতিতে দলগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে—বিদেশি ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতিতে কেমন হবে স্কোয়াড গঠন? আর যেসব ফ্র্যাঞ্চাইজি বিদেশিদের উপর ভরসা করে ছক কষেছিল, তাদের জন্য পথটা কিছুটা কঠিনই হয়ে যাবে টুর্নামেন্টের শেষভাগে এসে।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link