এক দশক পর এবি ডি ভিলিয়ার্সের রেকর্ডে ভাগ বসালেন কেউ। ম্যাথু ফোর্ডের আগ্রসনে ধুলো জমা রেকর্ড বইয়ে লেগেছে নতুন কালির দাগ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের ঝড় তুলেছিলেন ক্যারিবিয়ান এই বোলার। তবে তার এই কৃতীত্ব খানিকটা বেশি প্রশংসা প্রাপ্য।
ম্যাথু ফোর্ড মূলত একজন বোলিং অলরাউন্ডার। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন তিনি। এরপর আইরিশ বোলারদের সকল আত্মবিশ্বাস চূর্ণ করেছেন মুহূর্তের মধ্যে। মাত্র ১৬ বলে তিনি তুলে নিয়েছিলেন ফিফটি। ডানেডিনে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে গড়েছেন এই অনবদ্য কীর্তি।
তিনি ব্যাটিং করতে নেমেছিলেন ৪৪তম ওভারের সময়। সেই সময় কার্যত তার হাতে সম্ভাব্য বল বাকি ছিল মোটে ৫১টি। হাতে বাকি মাত্র চারটি উইকেট। এমন মুহূর্তে দাঁড়িয়ে তিনি ১৬ বল খেলেই গড়ে ফেলেছেন রেকর্ড। এই রেকর্ড ছুঁয়ে দেখতে আট খানা ছক্কা হাঁকিয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান। সেই সাথে একটি চারও মেরেছেন।
এক্সট্রা কাভারের উপর দিয়ে ছক্কা মেরে তিনি পূরণ করেন নিজের অর্ধশত রান। দীর্ঘ প্রায় দশ বছর ধরে ডি ভিলিয়ার্সের রেকর্ডটা ছিল অক্ষত ও ধরা ছোঁয়ার বাইরে। শেষ অবধি ফোর্ড ছুঁয়ে দেখলেন বিরল সেই কীর্তি। একজন লোয়ার অর্ডার ব্যাটার হিসেবে, এমন জটিল মুহূর্তে বিরল রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন। এ কারণেই তার বাড়তি প্রশংসা প্রাপ্য।
তবে কোনভাবেই ডি ভিলিয়ার্সের অনবদ্য ব্যাটিং রেকর্ডকে খাটো করে দেখার উপায় নেই। এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই ভিলিয়ার্স সেদিন রেকর্ড গড়েছিলেন, প্রথমবারের মত সর্বনিম্ন ১৬ বলে ওয়ানডে ফিফটি হাঁকিয়ে। সেদিন তিনিও খেলতে নেমেছিলেন প্রায় ইনিংসের শেষের দিকে। তার হাতে অবশ্য ১১টি ওভার ছিল।
তাইতো জোহানেসবার্গে সেদিন পঞ্চাশ রানে থামেননি ডি ভিলিয়ার্স। ১৪৯ রান অবধি নিয়ে গিয়েছিলেন নিজের ইনিংস। তাও মাত্র ৪৪ বলে। ম্যাথু ফোর্ড অবশ্য ততদূর যাওয়ার সুযোগ পাননি। হাফ সেঞ্চুরি করার দুই বল পরেই তাকে ফিরতে হয়েছে প্যাভিলিয়নে, হাতে বলও খুব বেশি বাকি ছিল না।
দু’টো ইনিংস ভীষণ ‘স্পেশাল’, নিজ নিজ অবস্থানে। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বৃষ্টি মলিন করে দিতে চেয়েছে ফোর্ডের ব্যাটিং তাণ্ডব। কিন্তু ইতিহাস গড়া ব্যাটিং ইনিংস তো আর চাইলেই রঙহীন হয়ে যায় না।