আসবেন, ইনিংসের সূচনা করবেন, উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে বিদায় নেবেন – এই যেন এখন এনামুল হক বিজয়ের নিয়তি। গল টেস্টে প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও সেই একই দৃশ্য। আবারও কাঠগড়ায় উঠল বিজয়ের ব্যাটিং কৌশল।
প্রথম ইনিংসে ডাক মারার পর এবার তুলতে পারলেন মাত্র চার রান। ১০ ডেলিভারির পর এবার খেললেন ২০ ডেলিভারি। দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে তিনি যথারীতি অনিশ্চিত হয়ে গেলেন।
প্রভাত জয়াসুরিয়ার লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারি অফস্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিল। বিজয় শরীর থেকে দূরে গিয়ে যেন ব্যাট দিয়ে হাত বাড়িয়ে বলটা ঠেকাতে চাইলেন, হালকা ছোঁয়া লেগে বল স্ট্যাম্পের পেছনে দাঁড়ানো কুশল মেন্ডিসের হাতে জমা হয়।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে গল টেস্টের একাদশেও সম্ভবত মাঠে নামা হত না এনামুল হক বিজয়ের। কিন্তু, মেহেদী হাসান মিরাজের অসুস্থতা তাঁকে একটা সুযোগ দেয়। সেই সুযোগটা নিজ হাতে শেষ করে দিলেন বিজয়।
কলম্বো টেস্টে তাঁর থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। যেমনটা গল টেস্টের আগে পরিকল্পনা হয়েছিল – সেই পথেই এবার হাঁটতে পারে বাংলাদেশ দল। সাদমান ইসলামের সাথে ওপেন করতে নামবেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে মাত্র একটা ইনিংস খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেখানে করেন ৩৯ রান। এরপর জাতীয় দলে না খেললেও খেলেছেন ‘এ’ দলের হয়ে।
নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে দু’টো প্রথম শ্রেণির ম্যাচেই খেলেছেন। কিন্তু, বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। অথচ, ভাল শুরু পেয়েছেন সবগুলোতেই। সেটা ধরে রাখতে পারেননি।
তবে, গল টেস্টে তিনি দুই ইনিংসেই চূড়ান্ত ব্যর্থ। ব্যাটিং টেকনিক নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এই গলের মাটিতেই ২০১৩ সালে টেস্ট অভিষেক হয় বিজয়ের। ১২ বছরে টেস্ট খেলেছেন মাত্র সাতটি। অবশ্য কোনোবারই তিনি বলার মত সাফল্য পাননি। এবার সম্ভবত আরেকটি বার নিজের চিরচেনা নির্বাসনে ফিরতে হবে বিজয়কে।