আমেরিকাতে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে কম সমালোচনা হয় নি। তীব্র গরম আর হঠাৎ বজ্রঝড় নিয়ে সরাসরিই কথা বলেছেন খেলোয়াড়েরা।তবে মাঠের লড়াইয়ে কমতি দেখা যায় নি। চেলসি বনাম বেনফিকার রাউন্ড অব ১৬ এর ম্যাচে প্রায় দুই ঘন্টা খেলা বন্ধ থাকলেও, পয়সা উসুল করেই বাড়ি ফিরেছেন চেলসি সমর্থকেরা। ডি মারিয়ার সমতাসূচক গোল কেবল আক্ষেপই বাড়িয়েছে।
দ্বিতীয়ার্ধে রিস জেমসের অসামান্য ফ্রি-কিকে এগিয়ে যায় চেলসি। ম্যাচ তখন নিয়ন্ত্রণে, কিন্তু ৮৬ মিনিটে নামে ঝড়। বজ্র-বৃষ্টি সব থামিয়ে দেয় খেলা, প্রায় ১ ঘণ্টা ৫৭ মিনিটের অনির্ধারিত বিরতি।
তবে ফুটবল থামে না। ফিরে এসে চিত্রনাট্য বদলে দেন এক ল্যাটিন জাদুকর। ৯৫ মিনিটে, ইনজুরি টাইমে মালো গুস্তোর হ্যান্ডবলে পেনাল্টি। অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে যেন বললেন, ‘এখনও আমি আছি।’ শট নিলেন, গোল করলেন, ১-১।
ম্যাচ গেল অতিরিক্ত সময়ে। মোমেন্টাম বেনফিকার পক্ষে। আর সেখানেই শুরু চেলসির বিদ্যুৎ-নৃত্য। ১০২ মিনিটে প্রেস্টিয়ান্নির দ্বিতীয় হলুদ কার্ড, বেনফিকা পরিনত হল ১০ জনে। মারোস্কার কণ্ঠে এবার চিৎকার নয়, শান্ত আত্মবিশ্বাস। তিনি জানতেন, সময় এসেছে।
১০৮ মিনিটে ক্রিস্টোফার এনকুনকুর পা থেকে যে শট বেরোলো, তার ভ্যালুই ১৩.১ মিলিয়ন, তার সাইনিং মানির সমান। তারপর পেদ্রো নেতো, শেষে ডিউজবেরি-হল, একটি একটি করে পেরেক ঠুকলেন বেনফিকার কফিনে।
শেষ পর্যন্ত ৪-১! ঝড়ের মাঝেও বাঁচল নীল আলো। এখন কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ পালমেইরাস। পালমেইরাসে আছেন সেই বিস্ময়-বালক এস্তেভাও, যে এই ম্যাচের পরে চেলসিরই হবে। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে থাকছেন না কাইসেডো। তবু মারোস্কার দল জানে, যে দল ঝড়ের সঙ্গে যুদ্ধ করতে জানে, তার জয় সময়ের অপেক্ষা মাত্র।