মুক্তির চাবি খুঁজে পেলেন হোল্ডার

টানা ছয় ম্যাচ হারের পর মনে হচ্ছিলো, জিততে হলে নিজেদের সাধ্যের চেয়েও ভালো কিছু করতে হবে। এবার তারা পেরেছে। এই জয় শুধু একটা ম্যাচেই না, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের মন-মেজাজ পাল্টে গেছে।

জেসন হোল্ডার এলেন, দেখলেন, শেষ শটটা মেরে গেলেন। বাউন্ডারি। অবশেষে একটা জয় নিশ্চিত হল, জয় নয় আসলে মুক্তির চাবি। শেষটা একদম স্বপ্নের চাদরে মোড়ানো, খুবই স্পেশাল।

ব্যাট হাতে হোল্ডার এলেন, কাজটা শেষ করেই ফিরলেন। নিজের ১৬ রানের ক্যামিওটা বৃথা যেতে দিলেন না—শেষ শটটা তিনিই মারলেন, আর ওটাই জয়ের সিলমোহর। টানা হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

লো স্কোরিং ম্যাচে টিকতে পারল না পাকিস্তান। ১৩৪ রানের লক্ষ্যে একদম শেষ বল পর্যন্ত লড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হাসান আলীর চার ওভারে ৪৮ রান হজমই সর্বনাশ ডেকে আনল।

জয়ের নায়ক অবশ্যেই হোল্ডার। বল হাতে মাত্র ১৯ রান দিয়ে নেন চার উইকেট। এরপর ফিনিশিং নক। হাসান নাওয়াজ বা মোহাম্মদ নওয়াজদের প্রচেষ্টা আমেরিকার লওডারহিলে মিশে যায় মাটির সাথে।

শাই হোপ, রোস্টন চেজ আর গুদাকেশ মোটি—এই তিনজন খেলে গেলেন ঠিক যতটুকু দরকার ছিলো টিকে থাকার জন্য। পাকিস্তানের স্পিনাররা গেমটা একদম কন্ট্রোলে রেখেছিল, কিন্তু পেসাররা সেই জমানো চাপ ধরে রাখতে পারলেন না।

শেষে খরচ করে ফেললেন সব, সবচয়ে বেশি করলেন হাসান আলী। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ে তখনও আগুন ছিল, বুক চিতিয়ে লড়ে গেলো দলটা—এমন একটা জয়ের খুব দরকার ছিল তাদের।

টি-টোয়েন্টি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরের মাঠে। টানা ছয় ম্যাচ হারের পর মনে হচ্ছিলো, জিততে হলে নিজেদের সাধ্যের চেয়েও ভালো কিছু করতে হবে। এবার তারা পেরেছে। এই জয় শুধু একটা ম্যাচেই না, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের মন-মেজাজ পাল্টে গেছে।

Share via
Copy link