ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার পর এশিয়া কাপের আগে আত্মবিশ্বাসী পাকিস্তান দল। তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্নের জায়গাটা, কেমন হতে পারে পাকিস্তান দলের সম্ভাব্য এশিয়া কাপের স্কোয়াড? বাবর-রিজওয়ান-শাহীনরা থাকছেন কি?
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েছেন ফখর জামান। তাই তো এশিয়া কাপের দলে তাঁর থাকা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তিনি না খেললে অভিজ্ঞতার জেরে দলে ফিরতে পারেন বাবর আজম। মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়েও জোর আলোচনা চলছে। তবে তাঁর সম্ভাবনা একেবারেই শূন্যের কোটায়।
ব্যাটিং অর্ডারে সায়িম আইয়ুব এবং ফর্মের তুঙ্গে থাকা শাহিবজাদা ফারহানের জায়গাটা একপ্রকার পাকাপোক্তই। সেই সাথে থাকবেন মোহাম্মদ হারিসও। ক্লিন হিটার হিসেবে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে হাসান নাওয়াজও প্রায় নিশ্চিত।
অলরাউন্ডার হিসেবে ফাহিম আশরাফ এবং দারুণ ছন্দে থাকা মোহাম্মদ নাওয়াজ থাকছেন। সহযোদ্ধা হিসেবে তাঁরা পাবেন কাপ্তান সালমান আলি আঘাকে।
বোলিং বিভাগের দায়িত্বে হারিস রউফ থাকবেন। গতি আর বাউন্স মিলিয়ে দলের এক্স ফ্যাক্টর তিনি। স্পিনে সুফিয়ান মুকিম ও আবরার আহমেদ থাকছেন ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে। তবে আরও কিছু শূন্যস্থান থেকেই যাচ্ছে, যেখানে প্রশ্নবোধক চিহ্নটা বসবে শাহিন আফ্রিদির নামের পাশে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজে খুব বেশি উইকেট না পেলেও খুব একটা খারাপ বল তিনি করেননি। বিকল্পের অভাবে অভিজ্ঞ এই পেসারকে দলে রাখার সম্ভাবনা তাই থাকছেই। আরও একটা জায়গা নিয়ে আলোচনা চলছে, হাসান আলি নাকি নাসিম শাহ কে থাকবেন?
পাকিস্তান সুপার লিগের পারফরম্যান্স হাসানকে পুনরায় দলে জায়গা করে দেয়। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ২ ম্যাচে ১ উইকেট নিয়ে একপ্রকার ব্যর্থই হয়েছেন। বিপরীতে, নাসিম শাহও দীর্ঘদিন ধরেই টি-টোয়েন্টিতে নিষ্প্রভ, তাই তো হাসানের অভিজ্ঞতা হয়তো এগিয়ে থাকবে এখানে।
খুশদিল শাহর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ব্যাট-বলে কোনোটিতেই বিশেষ অবদান রাখতে পারছেন না তিনি। তাই তো তাঁর জায়গা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের সম্ভাব্য স্কোয়াড – সায়িম আইয়ুব, শাহিবজাদা ফারহান, ফখর জামান , মোহাম্মদ হারিস (উইকেটকিপার), হাসান নওয়াজ, সালমান আলি আঘা, হুসেইন তালাত, ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ নওয়াজ, আবরার আহমেদ, হারিস রউফ, শাহিন আফ্রিদি, সুফিয়ান মুকিম, আব্বাস আফ্রিদি, হাসান আলি।