আধুনিক ক্রিকেটে পেস বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত দুই নাম-ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ এবং পাকিস্তানের শাহীন শাহ আফ্রিদি। দুজনেই তাদের দেশের জন্য নিজেদের সেরাটা দিয়ে আসছেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক এশিয়া কাপের পরিসংখ্যান বিবেচনায় দুজনের দ্বৈরথে কে এগিয়ে?
জাসপ্রিত বুমরাহ অভিষেকের পর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ৭০ টি। ১৭.৭৪ গড়ের সাথে ৬.২৭ ইকোনমিতে উইকেট নিয়েছেন ৮৯ টি । অন্যদিকে শাহীন আফ্রিদি খেলেছেন ৮১ ম্যাচ। ২২.২৫ গড় আর ৭.৮৮ ইকনোমিতে ১০৪ উইকেট ঝুলিতে পুড়েছেন।
বুমরাহ এবং শাহীনকে আলাদা করা যায় তাদের বোলিং গড় এবং ইকোনমিতে। টি-টোয়েন্টিতে ইকোনমি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভারতীয় পেসার মাত্র ৬.২৭ ইকোনমি নিয়ে শাহীনের থেকে বেশ ভালো অবস্থানে।
তবে দু’জনের এশিয়া কাপ পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বুমরাহ ৭ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১২ টি। যেখানে তাঁর ১৬.৬ গড়ের সাথে ইকোনমি ছিল ৩.৮৪।
অ্রন্যদিকে শাহীন শাহ আফ্রিদি ৮ ম্যাচে প্রায় ২৬ গড় এবং ৫.৪০ ইকোনমিতে উইকেট তুলেছেন ১৪ টি। উইকেটের দিক থেকে শাহীন কিছুটা এগিয়ে থাকলেও , বুমরাহর ইকোনমি আর গড় ব্যাটারদের কাছ থেকে সমীহ আদায় করেছে।
এবারের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে সংয়ুক্ত আরব আমিরাতে। আমিরাতে দু’জনের পারফরম্যান্স ঘাটলে দেখা যায় , শাহীনের থেকে বুমরাহ ঢের এগিয়ে। বুমরাহ চার ম্যাচে ১৬ গড়ে নিয়েছেন আট উইকেট, সেই সাথে ইকোনমি ছিল ৩.৬৭। অপরপাশে শাহীন তিন ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন মাত্র ৪ টি। সেই সাথে ইকোনমি ছিল ৪.৮৮।
যদিও শাহীনের পারফরম্যান্সকে খুব বেশি খারাপ বলার উপায় অবশ্য নেই। নতুন বলে তিনি ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছেন। কিন্তু পরিসংখ্যান, চাপের মহূর্তে পারফরম্যান্স এবং অভিজ্ঞতার বিচারে বুমরাহ বেশ এগিয়ে।
দূর্দান্ত ইকোনেমি রেটের পাশাপাশি উইকেট সংখ্যা এবং ধারাবাহিকতার বিচারে সাফল্যের পাল্লাটা বুমরাহর দিকেই ভারি। তবে দিনশেষে দুজনেই তো নিজ দেশের ক্রিকেটের অমূল্য সম্পদ।
